ইলিয়াস উদ্দীন,নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার শিমুলিয়া ইউনিয়নের দোসতিনা গ্রামের স্বামী আব্দুস সালাম পাটালির (৬২) লাঠির আঘাতে দুই সন্তানের জননী স্ত্রী জবেদা খাতুন (৫৫) নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় স্বামী আব্দুস সালাম পাঠালিকে আটক করেছে পুলিশ। নিহতের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় নিহতের নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
শিমুলিয়া ইউনিয়নের দোসতিনা গ্রামের ২ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার মিজানুর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় দোসতিনা গ্রামের মৃত ওয়াদুদ পাটালির ছেলে আব্দুস সালাম পাটালির (৬২) স্ত্রী দুই সন্তানের জননী জবেদা খাতুন (৫৫) পার্শ্ববর্তী গ্রাম জামালপুরে ডাক্তার দেখাতে যান। এ্যজমা রোগী জবেদা খাতুন পল্লী চিকিৎসক ইজানুরের কাছ থেকে বাকিতে ওষুধ কিনে বাড়ি আসেন। এরপর স্বামীর কাছে তিনি ওষুধের টাকা চান। স্বামী আব্দুস সালাম পাঠালি স্ত্রীর কথা শুনে রেগে হাতে থাকা ডুমুরের ডাল দিয়ে স্ত্রীকে আঘাত করেন। এতে স্ত্রী জবেদা খাতুন ঘটনাস্থলেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
পুলিশ ঘটনা স্থলে পৌঁছে নিহতের লাশ সুরতহালের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে মর্গে প্রেরণ করেন এবং নিহতের স্বামী আব্দুস সালাম পাঠালিকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।
এ ব্যাপারে ঝিকরগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ সুমন ভক্ত ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে দুপুরে জানান,মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং আসামি আব্দুস সালাম পাটালিকে আটক করা হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছিল।
