কল্যাণ রিপোর্ট : ঝিকরগাছা পৌরসভা নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিরোধীতা করে নির্বাচনে অংশ নেয়ায় তিন বিদ্রোহী প্রার্থীকে বহিস্কার করেছে যশোর জেলা আওয়ামী লীগ।
বহিষ্কার বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনের আগ মুহূর্তে ফোন করে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির বহিস্কারাদেশ স্থগিত করা হয়েছে। রোববার দুপুরে প্রেসক্লাব যশোরে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন।
বহিস্কৃতরা হলেন একেএম আমানুল কাদির টুলু, আব্দুল্লাহ আল সাঈদ ও শিপন সরদার।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী রায়হান, যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম, শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক শেখ আতিকুর বাবু, উপ-দফতর সম্পাদক ওয়াহিদুল ইসলাম তরফদার, ঝিকরগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মোস্তফা আনোয়ার পাশা জামাল, রমজান শরীফ বাদশা, যুগ্ম সম্পাদক মনিরুল ইসলাম, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির, অ্যাডভোকেট আব্দুল কাদির, নাজুমল হাবিব শেফার, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিম রেজা, অশোক দত্ত প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন বলেন, ঝিকরগাছা পৌর নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিসহ চারজন বিদ্রোহী হিসেবে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। দলীয় গঠনতন্ত্রের ৪৭ উপধারা অনুযায়ী দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করায় উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম মুকুল, আওয়ামী লীগ নেতা একেএম আমিনুল কাদির টুলু, আব্দুল্লাহ আল সাঈদ ও শিপন সরদারকে বহিস্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সংবাদ সম্মেলনের ঘোষণা দেয়ার আগ মুহূর্তে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম মুকুল ফোন করে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়ায় তার বহিস্কারাদেশ স্থগিত রেখে অন্য তিনজনকে বহিস্কার করা হলো।
তিনি বলেন, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নেয়ায় এখন পর্যন্ত যাদের বহিস্কার করা হয়েছে তারা দলে ফিরতে পারবে না।