কল্যাণ রিপোর্ট : ঝিকরগাছার পৌর নির্বাচনে পুলিশ কাউন্সিলর প্রার্থীদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। পুলিশ বেছে বেছে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদের বাড়িতে যেয়ে খোঁজাখুজি করছে। এতে করে দীর্ঘদিন পরে অনুষ্ঠিত পৌর নির্বাচনের ভোট উৎসবের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। রোববার প্রেসক্লাব যশোরে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন কাউন্সিলর প্রার্থী আরমান হোসেন কাকনের স্ত্রী সুমাইয়া ইয়াসমিন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শফিয়ার রহমান, রেবেকা রহমান প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে সুমাইয়া ইয়াসমিন বলেন, দীর্ঘ ২১ বছর পর আগামী ১৬ জানুয়ারি ঝিকরগাছা পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে আমার স্বামী আরমান হোসেন কাকন কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হয়েছেন। কাকন প্রার্থী হওয়ায় পর থেকে পুলিশ প্রতি রাতে বাড়িতে যেয়ে তাকে খুজছে। এ ছাড়া বিএনপি সমর্থিত অন্যান্য প্রার্থীদেরকেও খুজছে পুলিশ। ১ জানুয়ারি ঝিকগাছা থানার এসআই সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে বিএনপির শীর্ষ নেতাসহ ১০ জন কাউন্সিলর প্রার্থীর নাম উল্লেখসহ ৩৪ জনকে আসামি করে নাশকতার মামলা করেছেন।
তিনি বলেন, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর ঝিকরগাছা পৌরসভার নির্বাচনের তফশিল ঘোষণার পর পৌরবাসীর মধ্যে স্বস্তি ফিরেছিল। নতুন জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে ভোট উৎসবে মেতে উঠেছে পৌরবাসী। ঝিকরগাছা থানা পুলিশ একটি দলের প্রার্থীদের নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন মামলা দিয়ে বিশেষ মহলকে খুশি করতে মাঠে নেমেছে। যা সুষ্ঠ নির্বাচনে বাধার সামিল। তিনি ঝিকরগাছা পুলিশের এহেন কর্মকান্ড বন্ধের জন্য জেলা প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।