নিজস্ব প্রতিবেদক, ঝিনাইদহ
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সুরাট বাজারে অবস্থিত জামায়াতে ইসলামীর অফিস থেকে সরকারি অনুদানের সার ও বীজ উদ্ধার করেছে স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপরের কর্মকর্তারা। শুক্রবার মধ্যরাতে এসব সরকারি কৃষি উপকরণ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত উপকরণের মধ্যে রয়েছে চার বস্তা ডাই এমনোয়িাম ফসফেট বা ডিএপি সার, এক বস্তা মিউরিয়েট অব পটাশ বা এমওপি সার, আট প্যাকেট সরিষার বীজ এবং ১৯ কেজি মসুরবীজ। এতে এলাকবাসী ও কৃষকরা সন্তোষ প্রকাশ করলেও জামায়াতে নেতাকর্মীরা অসন্তোষ জানিয়েছেন। এটি একটি ষড়যন্ত্র বলে আখ্যায়িত করে তার্ াসুরাট বাজারে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয কৃষক ও স্থানীয় নেতৃত্ব নজরুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন জানান, সুরাট বাজারে অবস্থিত জামায়াতে ইসলামীর অফিসে সরকারি অনুদানের সার ও বীজ দেখতে পেয়ে এলাকাবাসি ভিড় জমায়। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার অতিরিক্ত কৃষি অফিসার জুনায়েদ হাবিব ও সংশ্লিষ্ট কৃষি কর্মকর্তারা রাতেই সেখানে উপস্থিত হয়ে অবৈধভাবে মজুত রাখা সার ও বীজ তাদের অফিসে নিয়ে আসেন। ওই সময় ঘটনাস্থলে সুরাট ইউনিয়ন শাখা জামাতে ইসলামীর সভাপতি ইকবাল হোসেন, ওয়ার্ড জামায়াতের সভাপতি সাইফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মিঠু, ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বিল্লাল হোরসেন, কৃষক নাসির উদ্দিন, গ্রামের লিয়াকত আলী এবং জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের আহ্বায়ক মনোয়ারা খাতুনসহ বেশকিছু এলাকাবাসি উপস্থিত ছিলেন।
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার অতিরিক্ত কৃষি অফিসার জুনায়েদ হাবিব বলেন, সরকারি অনুদানের কোন উপকরণ রাজনৈতিক দলীয় কোন অফিস বা ব্যক্তি পর্যায়ে রাখা বা মজুত করা সম্পূর্ণ বেআইনি ও অপরাধমূলক কাজ। তাই তারা সেগুলো জব্দ করে অফিসে নিয়ে এসেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে সেটি কার নামে বরাদ্দ ছিল সে বিষয়ে পরবর্তী সময়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া যাবে।
এব্যাপারে জামায়াতে ইসলামী ঝিনাইদহ সদর উপজেলা আমির হাবিবুর রহমান বলেন, সার ও বীজ বিতরণ করতে রাত হয়ে যাওয়ায় শনিবার সকালে পুনরায় বিতরণের উদ্দেশ্যে তাদের দলীয় অফিসে রাখা হয়েছিল। কিন্তু তার আগেই তাদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ কৃষি অফিসকে জাানিয়ে দিয়ে তাদের হেয় প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তারা সংবাদ মাধ্যমে মিথ্যে তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে তারা সুরাট বাজারে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছেন।
