নিজস্ব প্রতিবেদক, ঝিনাইদহ
ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌরমেয়র সাইদুল করিম মিন্টুকে ডিবি পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার পর ঝিনাইদহে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের কিছু নেতাকর্মীর মধ্যে শংকা দেখা দিয়েছে। ঝিনাইদহ-৪ (কালীগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম কোলকাতায় দুর্র্বৃত্তের হাতে নৃশংস খুন হওয়ার পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে হেফাজতে নিয়েছে গোয়েন্দা সংস্থা।
এঘটনার ৪ দিন আগে ঝিনাইদহ শহরের আদর্শপাড়া থেকে একই অভিযোগের সূত্র ধরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)-র সদস্যরা আওয়ামী লীগ ঝিনাইদহ জেলা কমিটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক কাজী কামাল বাবু ওরফে গ্যাসবাবুকে আটক করে ঢাকায় রিমান্ডে নেয়। মঙ্গলবার ঢাকায় মিন্টুকে হেফাজতে নেওয়ার পর অনেক প্রভাবশালী নেতাকেও এখন আর শহরে দেখা যাচ্ছে না।
এদিকে সাইদুল করিম মিন্টুর নি:শর্ত মুক্তির দাবিতে বুধবার বেলা ১১টার দিকে শহরের পায়রাচত্বরে ঝিনাইদহ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের ব্যানারে এক মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়। ঝিনাইদহ দোকান মালিক সমিতি এবং বেশকিছু প্রতিষ্ঠানের নেতা-কর্মীরাও এতে অংশ নেন। স্বেচ্ছাসেবকলীগের জেলা কমিটির সভাপতি রানা হামিদের সঞ্চালনায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় মৎস্যজীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক তানজিলুর রহমান, কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আল ইমরান, শ্রমিক লীগ নেতা উজ্জল কুমার বক্তব্য দেন।
বক্তারা বলেন, তারা আনারের হত্যাকারীদের বিচার চান। কালীগঞ্জের সদ্যনির্বাচিত উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শিবলি নোমানি ও মেয়র আশরাফুল আলমের নাম উল্লেখ করে তারা বলেন- আনার খুনের ঘটনার পর একটি মহল দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভেদ টেনে ঘোলাপানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টায় লিপ্ত। তারাই হয়ত সংসদ সদস্য খুনের ঘটনায় জড়িতও থাকে পারেন এটা ভাবা অমূলক নয়। তারা সাইদুল করিম মিন্টুর নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান। তারা হুশিয়ারি করে বলেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মিন্টুকে মুক্তি দেয়া না হলে কঠোরতম কর্মসূচি নেয়া হবে। উল্লেখ্য, গত ১৩ মে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কোলকাতার নিউটাউন এলাকায় অভিজাত সঞ্জিভা গার্ডেনে দুর্র্বৃত্তদের হাতে নির্মম খুন হন আনোয়ারুল আজিম আনার।