বটিয়াঘাটা প্রতিনিধি: খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার খলশিবুনিয়া জিপিবি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিত্যাক্ত ভবনের টিন চুরি করে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। অন্যদিকে স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এই টিন চুরির ঘটনাটি নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য দেন। মঙ্গলবার রাতে প্রতিষ্ঠানের পুরাতন টিন চুরি করে নেয়ার সময় স্থানীয় এলাকাবাসী দেখতে পেয়ে ভাংগাড়ি ব্যবসায়ী, ভ্যানচালক হারুন তরফদারসহ টিন জব্দ করে।
স্থানীয় মুদি ব্যবসায়ী তুহিন শেখ বলেন, রাত আনুমানিক ৮ টার দিকে টিন নিয়ে যাওয়ার সময় আমিসহ স্থানীয়রা তাকে হাতেনাতে ধরি। পরে স্কুল কর্তৃপক্ষেকে জানালে তারা ওই রাতে এসে টিন উদ্ধার করে স্কুলের বারান্দায় রেখে দেয় এবং ভ্যানচালককে চলে যেতে বলে।
তথ্য অনুসন্ধানে আরও যানা যায় এই টিন বিক্রি ও চুরির মূল হোতা স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সদস্য চিন্ময় রায়। তিহনি টিনগুলো স্কুল কর্তৃপক্ষেকে না জানিয়ে সুখদাড়া এলাকার ভাঙাড়ি ব্যবসায়ী হারুন তরফদারের কাছে ১৬ হাজার ২২০ টাকায় বিক্রি করেন। খোঁজখবর নিয়ে আরও জানা যায় চিন্ময় রায় বেশকিছু টিন নিজেই চুরি করে নিয়ে ওই রাতেই তার মুরগির খামারের ভিতর রেখে দেয়। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় উত্তেজোনা বিরাজ করছে।
এ বিষয় জানতে চাইলে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি দয়াল চন্দ্র তরফদার বলেন, টিন চুরির ঘটনাটি আমি শুনেছি, প্রধান শিক্ষক শশাঙ্ক ঢালী বিষয়টা জানেন, আমি এ ব্যাপারে আর কিছু জানি না।
প্রধান শিক্ষক শশাঙ্ক ঢালী বলেন, সভাপতি আমাকে কিছু না বলে ম্যানেজিং কমিটির অন্য এক সদস্য চিন্ময় রায়কে সাথে নিয়ে টিনগুলো বিক্রি করেছেন। এ ব্যাপারে আমরা কিছুই জানি না। রাতে যখন টিন গুলো নিয়ে যাওয়া হচ্ছিলো তখন আমি সংবাদ পেয়ে টিনগুলো উদ্ধার করে স্কুল হেফাজতে রেখে দেয়ার ব্যবস্থা করি। এ ঘটনায় জরুরি সভা আহবান করা হয়েছে।
স্থনীয় ইউপি সদস্য দুলাল মহলদার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জড়িতদের শাস্তির দাবি করেছেন।
ম্যানেজিং কমিটির সদস্য চিন্ময় রায় বলেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আমাকে বিক্রি করতে বলেছে তাই আমি টিনগুলো বিক্রি করেছি। আমার মুরগির খামারে যে টিনগুলো রাখার কথা বলা হয়েছে সেগুলো চুরি করা টিন না। আমি পাঁচ পিস টিন ভাঙারি ব্যবসায়ীর কাছ থেকে কিনেছি। আমার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ সত্য নয়।
ভাঙারি ব্যবসায়ী হারুন তরফদার বলেন আমি ১৬ হাজার ২২০ টাকা দিয়ে কিনেছি। কেনার পর টিনগুলো নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা আমাকে বাধা দেয়। পরে টিনগুলো আমার কাছ থেকে স্কুল কতৃপক্ষে টিনগুলো নামিয়ে রাখে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নারায়ণ চন্দ্র মন্ডল বলেন ঘটনাটি আমি শুনেছি। বিষয়টি খুব দুঃখজনক। তদন্ত পূর্বক দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মমিনুল ইসলাম বলেন অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।