নিজস্ব প্রতিবেদক
খুলনা বিভাগীয় দলের বাঁহাতি স্পিনার টিপু সুলতান। সম্প্রতি শেষ হওয়া জাতীয় ক্রিকেট লিগে (এনসিএল) ব্যাটিংয়ের উন্নতি ছিল চোখে পড়ার মতো। বেশ কয়েকটি ইনিংসে লোয়ার অর্ডারে ব্যাটিংয়ে নেমে বড় জুটি গড়তে সহায়তা করেছেন। ব্যাটিং উন্নতির সেই ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছেন দীর্ঘ চার মাস পর শুরু হওয়া যশোর প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের সুপার ফোর পর্বে। রোববার শামস্-উল-হুদা স্টেডিয়ামে ৫৯ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে তার দল যশোর ক্রিকেট ক্লাব।
বহিরাগত কোটায় খেলা কুষ্টিয়ার আবু বক্কর জীবন ও দলীয় অধিনায়ক আমিনুর রহমান বিপর্যয় সামাল দিয়ে দলকে চ্যালেঞ্জিং স্কোরের দিকে যাচ্ছিলেন। তখনই আউট হয়ে যান জীবন। জীবনের আউটের পর যশোর ক্রিকেট ক্লাবকে দ্রুত গুটিয়ে দেয়ার স্বপ্ন দেখছিলেন প্রতিপক্ষ আরএন রোড ক্রীড়া চক্রের খেলোয়াড়রা। তবে বাধ সাধেন টিপু সুলতান। ৩২ বলে ৩টি ছয় ও দুই চারে খেলেন ৩৮ রানে ক্যামিও। অষ্টম উইকেটে আমিনুরের সাথে গড়েন ৬৬ রানের জুটি। তাতে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২১৮ রানের চ্যালেঞ্জি স্কোর দাঁড় করায় যশোর ক্রিকেট ক্লাব। পরে বল হাতে ১৯ রানে নেন তিন উইকেট টিপু। তাতে ১০৯ রানের বড় জয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান অক্ষুন্ন রেখেছে যশোর ক্রিকেট ক্লাব। সেই সাথে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা শিরোপা রেসে অনেকটাই এগিয়ে গেল।
অপরদিকে গতবারের রানার্সআপ আরএন রোড ক্রীড়া চক্র শিরোপা রেস থেকে ছিটকে পড়েছে।
এদিন টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় যশোর ক্রিকেট ক্লাবের অধিনায়ক আমিনুর রহমান। ব্যাট করতে নেমে খুব বেশি সুবিধা করতে পারেনি দুই ওপেনার রুশাদ হোসেন ও ইমরানুজ্জামান। রুশাদ হোসেন ৯ ও আগামী বিপিএলে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জারে সুযোপ পাওয়া ইমরানুজ্জামান ৩৭ বলে দুই চারে ১৯ রান করেন। দুজনই বাঁহাতি স্পিনার অরিদুল ইসলাম আকাশের শিকার হন। আকাশ পরে মোস্তাফিজুর রহমান খান টিটোকে সাজঘরে ফেরত পাঠান। আকাশের সাথে আর এক বাঁহাতি স্পিনার ইমন ফারাজি ও শুভ উইকেট শিকারে যোগ দিলে ৫৯ রানে ৫ উইকেটের দলে পরিণত হয় তারা। এখান থেকে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন জীবন। রায়হান (১৬) নিয়ে প্রাথমিক প্রতিরোধ গড়েন। পরে আমিনুরকে সঙ্গে নিয়ে চ্যালেঞ্জিং স্কোরের পথে নিয়ে যান। ৪৮ বলে ফিফটি করা জীবন শেষ পর্যন্ত ৬৪ বলে ৬টি চার ও ৩টি ছয়ে ৬৫ রান করেন। আমিনুর রহমান ৫৯ বলে ২টি চার ও একটি ছয়ে ৩১ রানে অপরাজিত ছিল। আরএন রোড ক্রীড়া চক্রের আকাশ ১০ ওভারে ২টি মেডেনসহ ২৯ রানে ৩টি, শুভ ৩৬ ও ইমন ফারাজি ৩৯ রানে ২টি এবং মেহেদি হাসান শিবলি একটি উইকেট দখল করেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে আরএন রোড ক্রীড়া চক্র। ৪০ ওভার ১ বলে অল আউট হওয়ার আগে ১০৯ রান করতে পারে। ব্যাট হাতে উইকেটকিপার ভূবন সর্বোচ্চ ২০, সাকিব ১৬, সুমন ১৪ ও আকাশ ১২ রান করেন। যশোর ক্রিকেট ক্লাবের টিপু সুলতান ১৯ রানে ৩টি, রায়হান ১৩ রানে ২টি, নাহিদ হাসান, জীবন, নিলয় ও মোস্তাফিজুর রহমান টিটো ১টি উইকেট দখল করেন।