নেংগুড়াহাট প্রতিনিধি : যশোরের মণিরামপুর উপজেলার রোহিতা ইউনিয়নে ডাকাতি ও চুরি বেড়ে যাওয়ায় রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন গ্রামবাসী। গত এক মাসে রোহিতা ইউনিয়নে তিনটি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। মুখোশধারী ডাকাতরা বাড়ির লোকজনকে বেঁধে মারপিট ও সবকিছু লুট করেছে। ফলে এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে আতঙ্ক। এমন পরিস্থিতিতে কোথাও কোথাও কমিটি গঠন করে চলছে পালাক্রমে রাত জেগে গ্রাম পাহারা। মঙ্গলবার রাত থেকে গ্রামবাসী পাহারা দিচ্ছেন।
রোহিতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন বলেন, পুলিশ ডিউটিরত অবস্থায় কিভাবে ডাকাতি হচ্ছে এটা ভাবার বিষয়। ডাকাত চক্রের সদস্যরা কালো মুখোশ পরে চুরি ডাকাতি করছে বলে ভুক্তভোগীরা জানান। ভুক্তভোগীরা চুরি ডাকাতি রোধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৭ নভেম্বর মধ্যরাতে উপজেলার রোহিতা ইউনিয়নের সরসকাঠি গ্রামে মোতালেব হোসেনের বাড়ির গ্রিলের তালা ভেঙে কালো কাপড়ে মুখ ঢাকা ৬-৭ জন ঘরে ঢোকে। বুকে পিস্তল ও গলায় চাকু ধরে জিম্মি করে ফেলে। পরে বেঁধে মারপিট করে নগদ ৬০ হাজার টাকা ও স্বর্ণের কানের দুল নিয়ে যায়। ২৯ অক্টোবর ভোরে ভান্ডারি মোড় সংলগ্ন আবুল কাশেমের বাড়ি থেকে টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও কাঁথা-কম্বল এবং ২৫ নভেম্বর মধ্যরাতে কোদলাপাড়া মোড়ে মেঘনা বেকারির মালিক মশিয়ার রহমানের বাড়ি থেকে ৪ লাখ টাকা ও ৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুট করে ডাকাতরা।
পৃথক তিনটি ডাকাতির ঘটনায় ডাকাতরা ছিল মুখোশধারী ও হাফ প্যান্ট পরা ছিল। ডাকাতরা বাড়ির গ্রিল ভেঙে ঘরে ঢুকে ভুক্তভোগীদের জিম্মি করে কখনবা চেতনানাশক স্প্রে করে ডাকাতি সংঘটিত করে। এ সকল ঘটনায় এলাকাবাসীর মাঝে ছড়িয়ে পড়েছে চরম আতংক।
আরও পড়ুন: ভ্যানের এলইডি লাইটে দুর্ঘটনার আশঙ্কা