ঢাকা অফিস
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম নাসির উদ্দিন জানিয়েছেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের জন্য ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে তফসিল ঘোষণা করা হবে।
শনিবার (২৯ নভেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের মক ভোটিং পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান। এ সময় নির্বাচন কমিশনের অন্যান্য সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
ভোটারদের সুবিধা নিশ্চিত করতে বুথ বাড়ানো হতে পারে
সিইসি এ সময় বলেন, সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একইসঙ্গে হলে ভোটারদের লাইন দীর্ঘ হতে পারে, তাই ভোটগ্রহণে কোনো সমস্যা না হয়, সেজন্য বুথ ও কেন্দ্র সংখ্যা বৃদ্ধি করা হতে পারে। তিনি জানান, “আমরা অনুমানভিত্তিক সিদ্ধান্ত নিতে চাই না, বাস্তব অভিজ্ঞতা ও পরিস্থিতি দেখে প্রয়োজন হলে কেন্দ্র বা বুথ বাড়ানো হবে। ভোটারের সুবিধা আগে, খরচ নয়।”
মক ভোটিংয়ের অভিজ্ঞতা
মক ভোটিংয়ে বেশ কিছু ভোটার গণভোটের ‘হ্যাঁ’–‘না’ বোঝার ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়েন। এ বিষয়ে সিইসি বলেন, “এটা স্বাভাবিক, কারণ আনুষ্ঠানিক প্রচারণা এখনো শুরু হয়নি। গত মঙ্গলবারেই নির্বাচনের অধ্যাদেশ জারি হয়েছে। প্রচারণা শুরু হলে জনগণ আরও ভালোভাবে বিষয়টি বুঝতে পারবেন।”
গণভোটের প্রশ্নে নতুন আইন
তিনি আরও বলেন, গণভোটের চারটি প্রশ্ন একসঙ্গে ‘বান্ডেল’ আকারে থাকবে, তাই প্রত্যেক প্রশ্নে আলাদাভাবে হ্যাঁ-না দেওয়ার সুযোগ নেই। এটি আইনগত বাধ্যবাধকতা, যা নির্বাচন কমিশন মেনে চলবে।
আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি
সামগ্রিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সিইসি জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি অনেক ভালো। তিনি বলেন, “বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা কখনোই শতভাগ নিখুঁত ছিল না, তবে আগের তুলনায় এখন পরিস্থিতি অনেক উন্নত। সব আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে আমরা কাজ করছি।”
এছাড়া, সিইসি আরও জানান যে, গণভোট ও সংসদ নির্বাচনের আয়োজন পুরোপুরি স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু করার জন্য তারা বিভিন্ন দিক থেকে প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে তফসিল ঘোষণা করার পর বিস্তারিত তারিখ জানানো হবে, বলেও জানিয়েছেন তিনি।
