শাহারুল ইসলাম ফারদিন
যশোর পৌরসভার রেলগেটে তেঁতুলতলা এলাকার (মুজিব সড়ক) ডোমার হোটেল সংলগ্ন সড়ক ও ফুটপাতের উপর ময়লা আর্বজনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। রাস্তার পাশের ময়লা সরতে সরতে রাস্তার উপর এসে পড়েছে। এস্থানে পথচারীদের নাকে রুমাল দিয়ে চলাচল করতে হয়। এলাকাবাসী ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা দুর্ভোগ থেকে পরিত্রাণ চেয়ে সংশ্লিষ্টদের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
ওই এলাকার বাসিন্দা সাঈদ হায়দার জানান, এখানে বাসা-বাড়ির গৃহস্থালি ফেলা ময়লার প্রায় ৮০ শতাংশ পচনশীল। ফলে এগুলো ফেলার অল্প সময়ের মধ্যেই পচে গিয়ে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়। এতে করে ফুটপাত দিয়ে হাঁটার উপায় নেই। বাধ্য হয়ে রাস্তা ধরে হাঁটছেন পথচারীরা। প্রতিদিনই পথচারী, শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী, ব্যবসায়ীসহ হাজারো মানুষ ভোগান্তিতে পড়ছেন।
পাশে অবস্থিত মুসলিম হেয়ার কাটিং। এ প্রতিষ্ঠানের সত্ত্বাধিকারী এরশাদুল ইসলাম বলেন, কয়েকজন টোকাই পচা ময়লার স্তুপ এদিক-ওদিক সরিয়ে ভাঙাচোরা প্লাস্টিক, পলিথিন, বোতল ইত্যাদি কুড়িয়ে কাঁধে চাপানো বস্তায় রাখছে। এছাড়াও স্থানীয়দের ৬/৮টি গরু ময়লা আর্বজনা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে খাবার খুঁজে খায়। এভাবে ময়লা আবর্জনা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ছে রাস্তা ও ফুটপাতের বিভিন্ন স্থানে। ফলে নষ্ট হচ্ছে স্বাভাবিক পরিবেশ। অপরদিকে পৌরসভার লোকজন নিয়মিত ময়লা নিয়ে যায় না। সপ্তাহে দুইবার নামে মাত্র ছোট ট্রাক নিয়ে এসে তিন ভাগের একভাগ ময়লা নিয়ে যায়। বাকি ময়লা আর্বজনা থেকে আসা উৎকট গন্ধে নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসে। একই অভিযোগ ফরহাদ এন্টারপ্রাইজের মালিক হাদিউজ্জামান, শিক্ষক জুলফিকার আলী, আরমান আলীসহ স্থানীয়দের। তারা বলেন, পাশেই সরকারি খাস জমি রয়েছে ১০ হাত ভিতরে ডাস্টবিনটা রাখলে এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
রাস্তার পাশ দিয়ে নাকে রুমাল চেপে স্কুল থেকে ফিরছিলো জিলা স্কুলের ৪র্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী শিবলী আল নোমান, সাজু হোসেন ও আব্দুল্লাহ। তারা জানায়, স্কুল যাওয়া-আসার সময় এই স্থানে পৌঁছালে দুর্গন্ধে দম বন্ধ হয়ে আসে। কোনো রকমে নাক-মুখ চেপে ময়লার ভাগাড় পার হই। এসব পচা ময়লা আবর্জনার গন্ধের জন্য অনেকে অসুস্থও হয়ে পড়ে।
নাগরিক অধিকার আন্দোলনের সমন্বয়ক শেখ মাসুদুর রহমান মিঠু পৌরসভার দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের এর জন্য দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, শুধু রেলগেট পশ্চিমপাড়া না, পৌরসভার সবকয়টি ওয়ার্ডের অবস্থা একই। গ্রিণ সিটির যে পরিবেশ তৈরি হয়েছিল তা এখন ময়লার ভাগড়ে পরিণত হয়েছে। পৌরসভা ময়লা অপসরণের জন্য এনজিও’র সাথে চুক্তি করেছে। তারা দুইভাবে অর্থ উত্তোলন করছে। একটি নিরাপদ, সুস্থ ও সুন্দর পরিবেশ নিশ্চিত করতে যেখানে-সেখানে ময়লা ফেলা বন্ধ করতে হবে। ওইস্থান থেকে নিয়মিত ময়লা পরিষ্কার ও ডাস্টবিন ব্যবস্থাপনা ভালো করার দাবি জানান তিনি।
আরও পড়ুন:শার্শায় গভীর নলকূপে বিদ্যুৎ না থাকায় বিপাকে চাষিরা
১ Comment
Pingback: মরা গরুর মাংস বিক্রির চেষ্টা