রায়হান সিদ্দিক: দীর্ঘ দু’বছর পর করোনার প্রকোপ কাটিয়ে এবার জমেছে ঈদের বাজার। ঈদকে সামনে রেখে যশোরের বাজারে রেডিমেট পোশাকের দোকানগুলো সেজেছে নতুন সাজে। দীর্ঘদিন ধরে পুরাতন পোশাকে ঠাই দাঁড়িয়ে থাকা মডেল পুতুলগুলো নতুন রূপে সাজানো হয়েছে। শপিংমলগুলোতে দেশি পোশাকের পাশাপাশি আধিপত্য দেখা গেছে ভারতীয় ও পাকিস্তানিসহ নানান ধরনের বিদেশি পোশাকের। তবে ট্রেন্ডে রয়েছে সারারা, গারারা নামের ভারতীয় পোশাক। এই ভারতীয় পোশাক আকর্ষণ কাড়ছে নারীদের। কিশোরী ও তরুণীরা মজেছে সারারা আর গারারা নামের ভারতীয় পোশাকে।
কিছু দোকানি আবার গারারা পোশাক পুষ্পা নামেও বিক্রি করছেন। এ ছাড়া ক্রপটপ গাউন আর বার্বি গাউনের দিকেও ঝুঁকছেন অনেকেই।
ফ্যাশনসচেতন নারীরা সাজ পোশাকে সবসময়ই নতুন কিছু চান। তাই বিক্রেতারাও চেষ্টা করেন ক্রেতাদের হাতে আকর্ষণীয় কিছু তুলে দিতে। ক্রেতাদের আগ্রহ বাড়াতে ভারতীয় সিনেমা বা সিরিয়ালের নামেও পোশাকের নামকরণ করেন বিক্রেতারা। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। এসব পোশাকের মূল্য সাড়ে চার হাজার থেকে ৩৫ হাজার টাকা পর্যন্ত।
ক্রেতারা বলছেন, ঈদে জমকালো পোশাকই তাদের পছন্দ। যারা একের অধিক পোশাক কিনছেন তারা আরামদায়ক ফেব্রিকের পাশাপাশি বেছে নিচ্ছেন ভারতীয় নজরকাড়া বিভিন্ন পোশাক।
দীর্ঘদিনের বিধিনিষেধ শেষে আবারও উৎসবের আনন্দে মাতবে যশোরবাসী। সেই প্রত্যাশা নিয়ে ঈদ বাজার করতে আশা সুমাইয়া সুমি জানালেন, প্রথমেই শিশুদের জন্য পোশাক কেনা হয়েছে। আর বড়দের জন্য সিট কাপড় কিনে দর্জিবাড়ি দেয়া হয়েছে বানাতে। দীর্ঘদিন পর ঈদের আমেজ আসছে তাই দামও এবার ডাবল ধরা হচ্ছে। এখন কিনতে হবে পছন্দমত রেডিমেট পোশাক।
তিনি জানান, বাজার ঘুরে এবছর নতুন তেমন কোন রেডিমেট পোশাক মেলেনি। তবে ভারতীয় সারারা, গারারা থ্রি-পিস, লেহেঙ্গা দেখেছেন। তার দাবি দাম একটু বেশি হলেও এবছর ট্রেন্ডে আছে এই পোশাক।
তাহামিদ গার্মেন্টসের সত্ত্বাধিকারী সাইফুল ইসলাম জানান, কলকাতার তুলনায় মুম্বাইয়ের পোশাকের মূল্য কিছুটা বেশি। দাম বেশি হলেও ভালো মানের পোশাকই ক্রেতাদের হাতে তুলে দিচ্ছেন তারা।
সিটিপ্লাজার ব্যবসায়ী মোমিনুল ইসলাম রাসেল জানান, এবছর তেমন নতুন কোন কালেকশন আসেনি। মোকামে গত বছরের যা ছিল তার সাথে দু-একটা নতুন কালেকশন এসেছে। তবে সব কিছু ঠিক থাকলে গেল দুই বছরের লোকসান পুষিয়ে নিতে পারবেন বলে আশা করছেন বিক্রেতারা।
শাখাওয়াত স্টোরের সত্ত্বাধিকারী শাখাওয়াত হোসেন জানান, এখনো তেমন ক্রেতা সমাগম হয়নি। তবে বিশ রমজানের পর ক্রেতা সমাগম হবে বলে আশা করছি।
টম এন্ড জেরির সত্ত্বাধিকারী মো. আলীজা খোকন জানান, এবছর নতুন কালেকশনের পোশাক তেমন না থাকলেও বাজারে ইতিমধ্যে সাড়া ফেলেছে ভারতীয় থ্রি-পিস ও লেহেঙ্গা সারারা, গারারা।
