নেংগুড়াহাট (মণিরামপুর) প্রতিনিধি
মণিরামপুর উপজেলার তাজপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিনকে বরখাস্ত করার প্রতিবাদে বিদ্যালয়ের সামনে মানববন্ধন এবং প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার বেলা ১১টায় বিদ্যালয়ের সামনে এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা মানববন্ধনে অংশ নেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা গেছে, তাজপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিন ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সাহাজান কবিরের মধ্যে নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে সমন্বয়হীনতায় বিরোধ সৃষ্টি হয়। এরই জেরধরে সম্প্রতি প্রধান শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করেন বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সাহাজান কবির। এ প্রধান শিক্ষককে বরখাস্ত করার প্রতিবাদে, বিদ্যালয়ের সামনে বিদ্যালয়ের শিক্ষক, স্থানীয় বাসিন্দা, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা একত্রে হয়ে মানববন্ধন করেন।
মানববন্ধন শেষে বিদ্যালয় মাঠেই এক প্রতিবাদ সভা করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য দেন বিদ্যালয়ের ৫বারের সাবেক সভাপতি ও হরিহরনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আইন বিষয় সম্পাদক মহাসীন কবির, সাবেক শিক্ষানুরাগী সদস্য আতিয়ার রহমান, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিন, সিনিয়র শিক্ষক সাহাজান, জালাল উদ্দিন, আজিজুর রহমান, আব্দুস সালাম, বিদ্যালয়ের জমিদাতা ও অভিভাবক হাবিবুর রহমান, হাসানুর রহমান, বিদায়ী ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী মারুফ হোসেন।
বক্তব্যে স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের উন্নয়নসহ, সব কাজে অনেক ভূমিকা রেখেছেন। তিনি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা থেকে আছেন এবং আর আট মাস চাকরি আছেন। আমরা এলাকাবাসী এই প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে কোনো বিশৃঙ্খলা দেখতে চাই না।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সাহাজান কবির বলেন, প্রধান শিক্ষককে বারবার মিটিং ডাকতে বলা হয়েছে। কিন্তু তিনি মিটিং ডাকেননি। আর অর্থ কেলেংকারির অভিযোগে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এরই প্রতিবাদে মানববন্ধন হয়েছে।
প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিন বলেন, অরাজকতা সৃষ্টি করে বিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি একেবারে ক্ষুন্ন করে ফেলছে সভাপতি আর সহকারী শিক্ষক আলতাপ হোসেন। সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগ হওয়ার জন্য এসমস্ত কাজ কাজ করছেন। এ বিষয়ে আমি এলাকাবাসীকে ডেকেছি। তারা এসেছেন।
এদিকে, উল্লেখিত বিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মী ও অফিস সহায়ক পদে নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে নিরাপত্তাকর্মী পদের প্রার্থী সম্রাট হোসেন ও অফিস সহায়ক পদের প্রার্থী হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে বিদ্যালয়ের সভাপতি সাহাজান কবিরসহ ১৫জনের নামে আদালতে মামলা করেছেন।
