ক্রীড়া ডেস্ক : শীতের আগে হঠাৎই চনমনে চারপাশ। টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া-আলোচনা একটাই ফুটবল। বিশ্বকাপ দুয়ারে, এমন উত্তেজনা আর রোমাঞ্চ ছুঁয়ে তো যাবেই। এমনকি ক্রিকেটাররাও শামিল এমন উৎসবে। পছন্দের দলকে সমর্থন জোগাতে বাংলাদেশ থেকে কাতারের দোহায় যাচ্ছেন বর্তমান ক্রিকেটার থেকে শুরু করে সাবেক ক্রিকেটাররাও।
বাংলাদেশ ক্রিকেটের প্রাণভোমরা, দেশের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন সাকিব আল হাসান বিশ্বকাপে সমর্থন করছেন আর্জেন্টিনাকে। এর বড় একটি কারণ তিনি সুপারস্টার লিওনেল মেসির বড় ভক্ত। একবার তো একটি টিভি প্রোগ্রামে জানিয়েই দিয়েছিলেন, ‘যদি কখনও সুযোগ হয় তিনি মেসির সাথে চাঁদে যাবেন।’ এ ছাড়া নানা সময়ে সাকিব বলেছেন, মেসির প্রতি তার আকর্ষণ কিংবা ভালোবাসার কথা। সে কারণেই ২৬ নভেম্বর আর্জেন্টিনা বনাম মেক্সিকোর ম্যাচ মাঠে বসে দেখবেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। নিজের চোখের সামনেই হাত তালি দিয়ে মেসিকে জানাবেন সমর্থন।
বাংলাদেশ দলের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল অবশ্য ব্রাজিলের ভক্ত। এর আগেও তাকে দেখা গেছে ক্লাব ফুটবলের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ এল ক্লাসিকোতে মাঠে বসে খেলা দেখতে ইউরোপ যেতে। এবারও ব্যতিক্রম নয়, তামিম মাঠে বসে নেইমারদের সমর্থন দিতে ছুটছেন কাতারে। ২৫ নভেম্বর কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে বসে ব্রাজিল ও সার্বিয়ার খেলা দেখবেন টাইগারদের এই ওয়ানডে অধিনায়ক।
বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা অবশ্য আর্জেন্টিনার ভক্ত। এপারে বাংলাদেশে লিওনেল মেসির আরেক বড় ভক্ত তিনি। নানা সময়ে বিভিন্ন ইন্টারভিউয়ে মেসির প্রতি নিজের মুগ্ধতার কথা অকপটেই বলেছেন তিনি। তবে বিশ্বকাপে মাশরাফি মাঠে বসে খেলা দেখবেন কি না সেটি সম্পর্কে এখনও কিছু জানা যায়নি। বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার মি. ডিফেন্ডডেবল-খ্যাত মুশফিকুর সমর্থন করছেন আর্জেন্টিনাকে। এ ছাড়া সৌম্য সরকার করছেন ব্রাজিলকে।
এদিকে বাংলাদেশ দলের আরেক সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার সুমনও যাচ্ছেন কাতারে ফুটবল বিশ্বকাপ দেখতে। জাতীয় দলের বর্তমান এই নির্বাচকের পছন্দ অবশ্য ব্রাজিল। মাঠে বসে খেলা দেখে নেইমারদের সমর্থন করতে তাই কাতারের বিমান ধরছেন বাশার। তবে একা যাচ্ছেন না তিনি, সঙ্গী হিসেবে থাকছেন তার দুই সাবেক সতীর্থ সানোয়ার হোসেন ও জাভেদ ওমর বেলিম। জানা গেছে, তিনটি ম্যাচ দেখবেন তারা মাঠে বসে। পর্তুগাল-উরুগুয়ে আর্জেন্টিনা-পোল্যান্ড এবং ব্রাজিল-ক্যামেরুনের ম্যাচে মাঠে থাকবেন তারা।
খুব বড় ভুল না করলে হয়তো বলাই যায় ফুটবলই পারে গোটা বিশ্বকে এক করতে। ধর্ম বর্ণ গোষ্ঠী নির্বিশেষে সবাইকে টেনে আনার অদ্ভুত এক ক্ষমতা রয়েছে এই ফুটবলের। ভক্তদের কথার সুরে সুর মিলিয়ে বলা যায় ফুটবল শুধু আবেগ আর ভালোবাসা নয়, তার চেয়েও বেশি কিছু। খেয়াল করলে দেখা যায় বিশ্বের অন্যান্য দেশের সাথে বাংলাদেশের মানুষও ফুটবলপ্রিয়। তার একটা ছোট্ট উদাহরণ দিতে গেলে বা দেখাতে গেলে বিভিন্ন শপিংমল কিংবা বিপণিবিতানে খোঁজ নিলে জানা যাবে ভক্তদের পছন্দের জার্সি কিংবা পতাকা কেনার হিড়িক কতটুকু।