আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ভারতের তামিলনাড়ুর ভিলুপুরম ও চেঙ্গলপাট্টু জেলায় রবিবার (১৪ মে) বিষাক্ত মদ খেয়ে তিন নারীসহ অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ওই বিষাক্ত মদ খেয়েই আরও ৩০ জন গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বলে জানা গেছে।
এদিকে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্টালিন বলেছেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত চার পুলিশ কর্মীকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
এ ছাড়া মুখ্যমন্ত্রী মৃতদের পরিবারকে ১০ লাখ রুপি করে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
স্থানীয় প্রশাসনসূত্রে জানা গেছে, রবিবার ভিলুপুরম জেলার মারাক্কানামের কাছে এককিয়ারকুপ্পামের ছয়জন বাসিন্দা মারা গেছেন ওই বিষাক্ত মদের জেরে।
স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বর্তমানে প্রায় ৩০ জনের মতো হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তাদের চিকিৎসা চলছে। এদের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে বলে দাবি করা হয়।
ঘটনার পর যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (উত্তর) এন কান্নান।
তিনি বলেন, ‘মৃত ১০ জনই সম্ভবত ইথানল-মিথানল পদার্থমিশ্রিত বিষাক্ত মদ খেয়েছিলেন। তারই জেরে এই পরিণতি। এককিয়ারকুপ্পাম ও মাদুরান্তগামের ঘটনা দুটি পৃথক। যদিও দুটোই উত্তর তামিলনাড়ুতে ঘটেছে। এ দুই ঘটনার পৃথকভাবে তদন্ত হচ্ছে।’
তিনি জানান, এখন পর্যন্ত দুই ঘটনার মধ্যে কোনো যোগসূত্র পাওয়া যায়নি। তবে দুই ঘটনার মধ্যে কোনো যোগ রয়েছে কি না, তা ভালোভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সাংবাদিকদের আইজি কান্নান বলেন, ‘দুটি বিষাক্ত মদ সেবনের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। একটি চেঙ্গলপাট্টু জেলায় এবং অন্যটি ভিলুপুরম জেলায়। শনিবার মারাক্কানামের কাছে ভিলুপুরম জেলার অন্তর্গত এককিয়ারকুপ্পাম গ্রামে ছয়জন বমি, চোখ জ্বালা এবং মাথা ঘোরার সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। খবর পেয়ে পুলিশেরই একটি দল গ্রামে পৌঁছে অসুস্থদের হাসপাতালে ভর্তি করেছিল। এর মধ্যে চারজন মারা যান। পরে আরও দুজন মারা যান। পরে আরও অনেকেই হাসপাতালে ভর্তি হন। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ৩৩ জনের চিকিৎসা চলছে। তারা ভালো আছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় আমরণ নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে এবং তার কাছ থেকে উদ্ধার করা বিষাক্ত মদও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এতে মিথানলের উপস্থিতি আছে কি না তা নিশ্চিত করতে ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।’
সূত্র : নিউজ১৮