নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরের তালবাড়িয়া ডিগ্রি কলেজ পরিচালনা পর্ষদ’র সভাপতি মনোনীত করা নিয়ে মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়িয়েছে বর্তমান সভাপতি কামাল হোসেন হিরা ও নওয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর তুহিন প্যানেল। শনিবার প্রেসক্লাব যশোরে একঘন্টার ব্যবধানে দু’পক্ষের পাল্টা-পাল্টি সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে দু’পক্ষ একে অপরের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেন।
হুমায়ুন কবীর তুহিন প্যানেল থেকে সভাপতি হতে চান সোহেল রানা নামে এক যুবক। তাদের অভিযোগ ২৩ এপ্রিল গভর্নিং বডির নির্বাচনে একটি পদেও জিততে পারেননি কামাল হোসেন হিরা প্যানেল। নির্বাচনে নিরঙ্কুস সংখ্যাগরিষ্টতা পেয়েছে তুহিন প্যানেল। নির্বাচিত সদস্যদের মনোনীত ব্যক্তি হবেন সভাপতি। কিন্তু কামাল হোসেন হিরাকে চতুর্থবার সভাপতি করতে অধ্যক্ষ শাহানাজ পারভীন তার নাম প্রস্তাব করে পাঠিয়েছেন। কর্মচারী নিয়োগ ও পদোন্নতি বাণিজ্যসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িত হিরা। যার প্রধান সহযাত্রী অধ্যক্ষ। তাছাড়া দুইবারের বেশি সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ নেই। এমপির ডিও লেটারে সভাপতি মনোনীত করার ওপর উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কিন্তু আইনের তোয়াক্কা না করে অধ্যক্ষ কামাল হোসেন হিরাকে টানা ৪ বার সভাপতি করতে মরিয়া অধ্যক্ষ শাহানাজ পারভীন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন হিতৈষী সদস্য হুমায়ুন কবির তুহিন, দাতা সদস্য বিএম কামাল হোসেন, অভিভাবক সদস্য হায়দার আলী, আজমত আলী ও রাজু আহমেদ।
একইদিন ঘণ্টা খানেকের ব্যবধানে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করে কামাল হোসেন হিরা বলেন, নানা অপকর্মে জড়িত সোহেল রানা সভাপতি হতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। তিনি বলেন, গভর্নিংবডি গঠন নীতিমালা অনুযায়ী হয়েছে। বিধি অনুযায়ী, ডিগ্রি কলেজে সভাপতি ও একজন বিদ্যোৎসাহী মনোনয়ন দেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি। সেক্ষেত্রে স্থানীয় সংসদ সদস্যের ডিও লেটারকে প্রাধান্য দেয়া হয়। যশোর সদর আসনের এমপি কাজী নাবিল আহমেদ তাকে কলেজের গভর্নিংবডির সভাপতি ও রেজাউল ইসলামকে বিদ্যোৎসাহী সদস্য হিসেবে মনোনয়ন দেয়ার জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিকে ডিও লেটার দিয়েছেন। এ দু’টি পদ ছাড়া অন্যান্য পদে ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি বলেন-যেসব অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হয়েছে, তার কোনো ভিত্তি নেই।
এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন হাফিজুর রহমান, কামরুল হুমায়ুন, নুর ইসলাম, আব্দুর রউফ, জাকির হোসেন, তোফাজ্জেল হোসেন ও মাহমুদুল হাসান।
প্রসঙ্গত, গত ২৩ এপ্রিল কলেজ পরিচালনা পর্ষদ গঠনে ভোটাভোটি হয়। সেখানে হুমায়ুন কবির তুহিন প্যানেল নিরঙ্কুস সংখ্যাগরিষ্টতা পায়। ওই নির্বাচনে সভাপতি কামাল হোসেন হিরা প্যানেলের কেউ পাস করতে পারেননি।