চুড়ামনকাটি প্রতিনিধি
যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের বাদিয়াটোলা গ্রামে ২০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে স্ত্রীকে তালাক দিয়েছেন প্রবাস ফেরত স্বামী গোলাম মোস্তফা। তালাকের পরও স্বামীর ঘর ছাড়ছেন না অভিযুক্ত স্ত্রী রুনা বেগম। এলাকার কিছু সন্ত্রাসীদের ম্যানেজ করে জোরপূর্বক স্বামীর বাড়িতেই অবস্থান করছেন তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী। এ ঘটনায় চুড়ামনকাটি ইউনিয়ন পরিষদে স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেও কোনো সমাধান পাচ্ছেননা গোলাম মোস্তফা। স্ত্রীকে বাড়িতে থাকতে না দিলে তাকে খুন জখমের হুমকি দিচ্ছে স্ত্রী রুনার ভাই একাধিক মামলার আসামি পিচ্চি বাবুসহ ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা। বর্তমানে তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীর ভয়ে নিজ বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র বসবাস করছেন স্বামী গোলাম মোস্তফা।
মঙ্গলবার চুড়ামনকাটি প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীর বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ করেন প্রবাস ফেরত গোলাম মোস্তফা। লিখিত বক্তব্যে গোলাম মোস্তফা বলেন, ১৩ বছর পূর্বে সদর উপজেলার ভেকুটিয়া গ্রামের রুনা বেগমকে পারিবারিভাবে বিয়ের পর তাদের সংসারে দু’টি সন্তান রয়েছে। অভাবী সংসারে সুখর খোজে ৬ বছর পূর্বে আমি সৌদি আরবে যাই। এ সময় আমার আয়ের সমস্ত টাকা স্ত্রী রুনা খাতুনের কাছে পাঠাতাম। এ সময় প্রায় ২০ লাখ টাকা স্ত্রীর কাছে পাঠিয়েছি। আমি ২৪ ফ্রেরুয়ারি বাড়িতে এসে স্ত্রীর কাছে টাকার হিসাব চাইলে সে হিসাব দিতে তালবাহানা শুরু করে। যা নিয়ে পারিবারিক কলহের সৃষ্টি হয়। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ করেও সমাধান না পেয়ে আমি বাধ্য হয়েই ২০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আমি স্ত্রীকে তালাক প্রদান করি।
লিখিত অভিযোগে গোলাম মোস্তফা আরো জানান, রুনার নেতৃত্বে তার ভাই পিচ্চি বাবুসহ খাইরুল, কুলসুম বেগম, সোহাগ, শফি, আনিচসহ অজ্ঞাত ৪/৫ ভাড়াটিয়া দুর্বৃত্ত মিলে আমার বাড়ি হামলা চালায় ২৫ মার্চ শনিবার বিকেল। তারা এ সময় আমার ভাই মহাসিনকে বেধড়ক মারপিট করে। স্বামীকে রক্ষা করার জন্য তার স্ত্রী শামসুন্নাহার এগিয়ে গেলে দুর্বৃত্তরা তাকেও মারপিট করে। এবং আমার ভাই ভাবিকে ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখে। পরে ৯৯৯ এ কল করে সহায়তা চাইলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের উদ্ধার করে। পুলিশি উপস্থিতি বুঝতে পেরে আগেই হামলাকারী দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।
এদিকে, হামলার ঘটনায় রাতেই গোলাম মোস্তফা তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী রুনা বেগমের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
এই বিষয়ে রুনা বেগম মুঠোফোনে জানান, বিদেশ থেকে স্বামীর পাঠানো টাকা দিয়ে তিনি ঘর নির্মাণ করাসহ সংসারে ব্যয় করেছেন। ২০ লাখ টাকা আত্মসাতের মিথ্যা অভিযোগে গোলাম মোস্তফা আমাকে তালাক দিয়েছেন।