নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রথম স্বামীকে তালাক না দিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে এবং প্রতারণার অভিযোগ আসমা খাতুন নামে এক নারীর বিরুদ্ধে রোববার যশোর আদালতে মামলা হয়েছে। তিনি জেলার ঝিকরগাছা উপজেলার কুঠিপাড়া গ্রামের আলমগীর হোসেনের মেয়ে। তার বিরুদ্ধে মামলাটি করেছেন প্রথম স্বামী আহসান হাবিব লিটন। তিনি মণিরামপুর উপজেলার স্বরুপদাহ গ্রামের ফজর আলী গাজীর ছেলে। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান আহমেদ তার অভিযোগের তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ডিবি পুলিশকে আদেশ দিয়েছেন।
আহসান হাবিব লিটনের অভিযোগ, ২০১৫ সালের ১৮ মে আসমা খাতুনের সাথে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর স্বামীর অনুমতি ছাড়াই ধর্ম আত্মীয় পরিচয়দানকারী মাছুম মোড়লের সাথে আসমা খাতুন ঢাকায় চলে যান গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে চাকরি করার কথা বলে। তবে মাঝে মধ্যে বাড়িতে আসতেন আসমা খাতুন। ৫ বছর আগে আসমা খাতুন ঢাকা থেকে বাড়িতে আসেন। তিনি স্বামীকে জানান, মাসিক ৫০ হাজার টাকা বেতনে সৌদি আরবে তার চাকরি হয়েছে। এ জন্য তার ২ লাখ টাকার প্রয়োজন। স্ত্রীর চাকরির কথা শুনে এ সময় আহসান হাবিব লিটন তাকে ২ লাখ টাকা দেন। টাকা নেওয়ার পর ঢাকায় যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান আসমা খাতুন। এরপর থেকে তিনি স্বামীর সাথে আর কোনো যোগাযোগ করেননি। এক পর্যায়ে গত ৪ আগস্ট আহসান হাবিব লিটন লোকমুখে জানতে পারেন, ঝিকরগাছা উপজেলার কুঠিপাড়া গ্রামের আব্দুল মালেক মোড়লের ছেলে মাছুম মোড়লকে বিয়ে করে তার সাথে ঘরসংসার করছেন আসমা খাতুন। এ খবর পেয়ে ওইদিন বিকেলে সেখানে যান আহসান হাবিব লিটন। পরে তিনি আসমা খাতুনের কাছে জানতে চান, তাকে তালাক না দিয়ে কীভাবে দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন ? একথা শুনে আসমা খাতুন তাকে বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যার হুমকি দিলে তিনি সেখান থেকে চলে আসেন। এ কারণে তালাক না দিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে এবং সৌদি আরবে যাওয়ার কথা বলে প্রতারণার মাধ্যমে ২ লাখ টাকা নেওয়ায় আসমা খাতুনের বিরুদ্ধে আহসান হাবিব লিটন আদালতে মামলা করেছেন।