জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক: যশোরে তীব্র তাপদাহে জনজীবন ওষ্ঠাগত হয়ে উঠেছে। প্রখর রোদে পুড়ছে প্রকৃতি। মাটি চিরে মাঠ-ঘাট হয়েছে চৌচির। দেখা নেই বৃষ্টির। প্রকৃতিও নিস্তেজ হয়ে পড়েছে। যারা রোজা নেই তারা প্রশান্তির জন্য ছুটছেন ডাব ও তরমুজের দোকানে। অনেকে কোমল জাতীয় পানি পান করছেন। তবে স্বাভাবিক থাকা দুষ্কর হয়ে পড়েছে রোজাদারদের।
যশোর আবহাওয়া অফিস জানায়, গত দুদিন ধরে যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও খুলনাসহ দক্ষিণাঞ্চলে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপদাহ। এ অবস্থা আরও দু’দিন স্থায়ী হতে পারে। সোমবার যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রোববার ছিল ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিকে সোমবার চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ওঠে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
আবহাওয়া অফিস আরও জানায়, বাতাসের আর্দ্রতা কমে আসার কারণে বেশি গরম অনুভূত হচ্ছে। যশোরে সকালের দিকে বাতাসের আপেক্ষিপ আর্দ্রতা ৮০ শতাংশ থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে আর্দ্রতা কমছে। দুপুর ১২টার পর থেকে গভীর রাতেও ৪০ থেকে ৫০ শতাংশের মধ্যে আর্দ্রতা ওঠা-নামা করছে। আরো দুই-একদিন এ অবস্থা বিরাজ করবে বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।
এদিকে সোমবার শহরে ডাবের দোকানে প্রচুর ভিড় জমতে দেখা যায়। তরমুজের বেচাবিক্রিও বেড়েছে। ডাব বিক্রেতা আব্দুল মজিদ জানান, গত দুদিন ধরে ডাবের বেচাবিক্রি বেড়েছে। সার্কিট হাউস রোডের তরমুজ বিক্রেতা সোলাইমান জানান, যেকোন দিনের চেয়ে আজ (সোমবার) বেশি তরমুজ বিক্রি হয়েছে।
গাড়িখানা রোডের নুর ইসলাম জানান, এখন ডাব ও তরমুজে মানুষ একটু প্রশান্তি খুঁজে পাচ্ছে। আমিও ডাব ও তরমুজ কিনে বাড়ি ফিরছি যোগ করেন নুর ইসলাম।