নিজস্ব প্রতিবেদক
তৃতীয়বারের মতো যশোর প্রথম বিভাগ বাস্কেটবল লিগের শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে কুদ্দুস স্মৃতি শরীর চর্চা কেন্দ্র। মঙ্গলবার জেলা ক্রীড়া সংস্থার বাস্কেটবল গ্রাউন্ডে তারা ১১৯-৮১ পয়েন্টে এ্যাপেক্স বাস্কেটবল ও ব্যাডমিন্টন ক্লাবকে পরাজিত করে টানা দ্বিতীয় শিরোপা নিজেদের করে নেয়। কুদ্দুস স্মৃতি প্রথমবারের মতো ২০১০ সালে লিগের শিরোপা নিশ্চিত করে।
সুপার লিগ পর্বের শেষ ম্যাচ অলিখিত ফাইনালে রূপ নেয়। তবে প্রথম কোয়ার্টার ছাড়া বাকি সময়টা একপেশে লড়াই হয়েছে। প্রথম কোয়ার্টারে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলে এ্যাপেক্স বাস্কেটবল ক্লাব। তবুও এ কোয়ার্টারের কুদ্দুস স্মৃতি এগিয়ে ছিল ২২-১৮ পয়েন্টে। এরপর সময় যত গড়িয়েছে ততই এ্যাপেক্সের খেলোয়াড়দের চালচলন দেখে মনে হচ্ছিল যতদ্রুত ম্যাচ শেষ করা যায়।
মূলত দুই দলের মধ্যে পার্থক্য গড়ে দিয়েছে কুদ্দুস স্মৃতি শরীর চর্চা কেন্দ্রের হয়ে খেলা জাতীয় বাস্কেটবল দলের অধিনায়ক মিথুন। কুদ্দুস স্মৃতির অর্জন করা ১১৯ পয়েন্টের ৪৬ পয়েন্টই এসেছে মিথুনের হাত ধরে। দুর্দান্ত এ পারফরম্যান্সে ম্যাচ সেরা খেলোয়াড় বাছাই করতে বিচারকদের খুব বেশি ভাবতে হয়নি। একই দলের রাহুল হয়েছেন লিগ সেরা খেলোয়াড়।
কুদ্দুস স্মৃতির পক্ষে রাহুল ৮, বাপ্পি ১৮, মোজাহিদ ১২, মিথুন ৪৬, তপু ২০, সাকিন ২, বিল্লাল ১১ ও বঙ্গ ২ পয়েন্ট অর্জন করেন। অপর দিকে এ্যাপেক্স বাস্কেটবল ক্লাবের পক্ষে পাপন ৮, রুহুল ৪, তামিম ২৬ ও কামরুল ৪৩ পয়েন্ট অর্জন করেন।
ম্যাচ শেষে প্রধান অতিথি স্থানীয় সরকার বিভাগ যশোরের উপ-পরিচালক রফিকুল হাসান খেলোয়াড়দের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন যশোর জেলা ক্রীড়া সংস্থার বাস্কেটবল পরিষদের সহ-সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি মকসেদ সফি, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পদাক এম এ আকসাদ সিদ্দিকী শৈবাল। ক্রীড়া সংগঠক নিবাস হালদারের পরিচালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন রায়হান সিদ্দিকী প্রবাল।
উল্লেখ্য, ১৯৮০-৮১ মৌসুমে প্রথমবারের মত যশোরে বাস্কেটবল লিগ শুরু হয়। ওই মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন হয় পলিপ ইন্টারন্যাশনাল। রানার্সআপ হয় মোস্তফা স্মৃতি সংঘ। পরের ৪৩ বছরে মাত্র ১৮ বার অনুষ্টিত হয়েছে লিগ। সর্বশেষ লিগ মাঠে গড়ায় ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে। চ্যাম্পিয়ন হয় কুদ্দুস স্মৃতি শরীর চর্চা কেন্দ্র। রানার্সআপ হওয়ার গৌরবার্জন করে নজরুল সিদ্দিকী স্মৃতি সংঘ।
