বিনোদন ডেস্ক
ইয়ামি গৌতম মডেলিং দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করলেও কঠোর পরিশ্রম ও প্রতিভা দিয়ে একের পরে এক বৈচিত্র্যময় চরিত্র দিয়ে বলিউডে সফল নায়িকা হিসেবে নিজের জায়গা করে নিয়েছেন।
ইয়ামি সম্প্রতি জানিয়েছেন, বড় বড় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য একাধিকবার মনোনীত হলেও কখনো তিনি পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত হননি। তবে তিনি এখন আর হতাশ হন না। বরং দর্শকদের ভালোবাসাকেই তিনি নিজের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি মনে করেন।
’আর্টিকেল ৩৭০’, ’অ্যা থার্সডে’র মতো ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে ইয়ামি গৌতম নিজেকে প্রমাণ করেছেন তার প্রজন্মের অন্যতম প্রশংসিত অভিনেত্রী হিসেবে। এসব ছবির জন্য তিনি ফিল্মফেয়ার ও আইফার মতো মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারের জন্য মনোনীতও হলেও জয় ধরা দেয়নি।
এক সাক্ষাৎকারে ইয়ামি বলেন, ‘জীবন নিজেই মানুষকে পুরস্কৃত করার পথ খুঁজে নেয়। হয়তো পুরস্কারের মাধ্যমে নয় কিন্তু অন্যভাবে নিশ্চয়ই।’
পুরস্কার না পাওয়ায় তার মন খারাপ হয় কি না এমন প্রশ্নে ইয়ামি স্পষ্টভাবে বলেন, না, মোটেও না। যতটা আমি ভগবদ্ গীতা বুঝেছি, কৃষ্ণ যা অর্জুনকে বলেছেন তা একদম সত্যি। সফলতা বা ব্যর্থতা দুটো থেকেই নিজেকে আলাদা রাখতে পারলে, অন্যের স্বীকৃতির প্রয়োজন হয় না। আমি এখন আর কারও কাছ থেকে স্বীকৃতি চাই না। যদি পুরস্কার পাই, তাহলে আমি ভালো অভিনেত্রী, না পেলে খারাপ এমনটা ভাবি না।
২০১৩ সালে ’ভিকি ডোনার’র জন্য সেরা নবাগত অভিনেত্রীর পুরস্কার জেতার পর থেকে ইয়ামি বেশ কয়েকবার বড় পুরস্কারের মনোনয়ন পেয়েছেন কিন্তু পুরস্কার জিততে পারেনি। তবে এখন তিনি দর্শকদের ভালোবাসাকেই নিজের আসল সাফল্য মনে করেন।
তিনি আরও বলেন, আসল পুরস্কার তো দর্শকের ভালোবাসা। কিছু পরিচালক ও প্রযোজক আমার ওপর বিশ্বাস রাখেন এর চেয়ে বড় পুরস্কার আর কী হতে পারে।
ইয়ামি গৌতমকে পরবর্তীতে দেখা যাবে হক ছবিতে। শাহ বানু মামলার অনুপ্রেরণায় নির্মিত এই আইনভিত্তিক নাটকে ইয়ামি একজন মুসলিম নারীর ভূমিকায় অভিনয় করছেন। ছবিটিতে তার বিপরীতে থাকবেন ইমরান হাশমি।
