নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) চলমান বিক্ষোভ আন্দোলন স্থগিত ঘোষণা করেছে শিক্ষার্থীরা। সোমবার দুপুরে যবিপ্রবির ভিসি উপাচার্য মো. আনোয়ার হোসেন শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস দিলে ১৫ জুলাই পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সেমিস্টার ফি কমানো; নবনির্মিত ভবনের লিফট স্থাপন ও দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণসহ ১২ দফা দাবিতে গত শনিবার থেকে আন্দোলন শুরু হয়। বিক্ষোভে যুক্ত হয় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগও। এ সময় বিক্ষুব্ধরা যবিপ্রবি উপাচার্যের কার্যালয়ের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেনকে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন। আন্দোলনের ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৬টি বিভাগের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা ও পাঠদান বন্ধ রাখে আন্দোলনরতরা।
ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সোহেল রানা বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আন্দোলনস্থলে এসে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে আগামী ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে নবনির্মিত স্যার জগদিশ চন্দ্র বসু ভবনে লিফট স্থাপন করা হবে। তাঁর প্রতি সম্মান জানিয়ে আমরা ১৫ জুলাই পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি স্থগিত করেছি।’
উপাচার্য অধ্যাপক মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘ছাত্রলীগ নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসেছি। তাদের দাবি অনুযায়ী আগামী ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে নতুন ভবনে অন্তত দুইটি লিফট স্থাপন করে চালানো হবে বলে তাদেরকে জানানো হয়েছে। লিফট ক্যাম্পাসেই রয়েছে। উপাচার্য বলেন, ঈদের আগে আগামী ২৪ জুন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। তবে পাঠদান কার্যক্রম চলানো হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, একাডেমিক রুটিন অনুযায়ী গত রোববার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়ো মেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং, ফার্মেসি, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়ো টেকনোলজি, ইংরেজি, ফিজিওফেরাপি অ্যান্ড রিহ্যাবিলেশন ও পদার্থ বিজ্ঞানসহ বিভিন্ন বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের সেমিস্টার ফাইনাল ও স্পেশাল সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা ছিলো। বিভাগের শিক্ষকেরা খাতাপত্র নিয়ে পরীক্ষার হলে অবস্থান করলেও শিক্ষার্থীদের কেউ পরীক্ষা হলে যেতে পারেননি। রুটিন অনুযায়ী আগামী ২৪ জুন পর্যন্ত পরীক্ষা চলার কথা ছিলো।