নিজস্ব প্রতিবেদক
দারুল আরাকাম মাদ্রাসা প্রকল্পের যশোরের ২৯ জন শিক্ষক-শিক্ষিকার যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। গতকাল রোববার ইসলামিক ফাউন্ডেশন যশোর জেলা কার্যালয়ে প্রকল্প পরিচালক আব্দুস সবুবের উপস্থিতিতে এ যাচাই বাছাই সম্পন্ন হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন যশোরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মনোয়ার হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম সাইফ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন যশোরের উপ-পরিচালক বিল্লাল বিন কাশেম, যশোর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুপাম দাস, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুস সামাদ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন যশোরের ফিল্ড অফিসার আব্দুর রশিদ, মাস্টার ট্রেইনার আশরাফ আলী প্রমুখ।
প্রকল্পের শুরুতে এসব শিক্ষক-শিক্ষিকারা নিয়োগ পান। এটা প্রথম শুরু হয় মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের একটি প্রকল্পের অংশ হিসেবে। বর্তমানে এটি আলাদা প্রকল্প ‘দারুল আরাকাম মাদ্রাসা প্রকল্প’ নামে কার্যক্রম শুরু করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ প্রকল্প সূচনা করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দারুল আরকাম মাদ্রাসার এক শিক্ষক বলেন, করোনার মধ্যে আট মাস বেতন-ভাতা বন্ধ ছিল। এ মাদ্রাসার ধারণা প্রধানমন্ত্রীর। এ মাদ্রাসার বেতন বন্ধ হোক তা তিনি অবশ্যই চাইবেন না।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন যশোরের উপ-পরিচালক বিল্লাল বিন কাশেম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ধর্ম মন্ত্রণালয় এই প্রকল্প গ্রহণ করেছে। মাদ্রাসা শিক্ষার উন্নয়ন ও শিক্ষকদের সমস্যা নিরসনে মূলত এই প্রকল্প। এই প্রকল্পের মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সমস্যা সমাধন হবে।
উল্লেখ্য,প্রাথমিক শিক্ষাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষার আওতায় আনতে ২০১৭ সালের নভেম্বরে এক হাজার ১০টি দারুল আরকাম মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করা হয়। এসব প্রতিষ্ঠানে ইফার নিজস্ব সিলেবাস দ্বারা তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত কার্যক্রম শুরু হলেও ২০২০ সালে তা পঞ্চম শ্রেণিতে উন্নীত হয়। এসব মাদ্রাসায় দেড় লাখ শিক্ষার্থী লেখাপড়ার সুযোগ পাচ্ছে।