নিজস্ব প্রতিবেদক
বাঘারপাড়া উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামে জলেশ্বরের বিলে একটি হাঁস, মুরগি, গরু, ছাগলের খামারে ডাকাতি ও কর্মচারীকে মারপিট এবং মালিকে ধরে মিথ্যা মামলা দেয়ার ঘটনায় দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ আওয়ামী লীগের ৪০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে যশোর আদালতে মামলা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার একই উপজেলার নলডাঙ্গা গ্রামের মৃত নেছার আলীর ছেলে সাবেক মেম্বর বিএনপি নেতা আবু ইছা বাদী হয়ে এই মামলাটি করেছেন। বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার দালাল মামলাটি তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বিশেষ পুলিশ সুপার (সিআইডি) জোন যশোরকে আদেশ দিয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী ফিরোজ রানা। আসামিরা হলেন, একই উপজেলার রায়পুর পুলিশ ক্যাম্পের তৎকালীন এসআই আব্দুল আজিজ, এএসআই নিয়ামুল ইসলাম, নলডাঙ্গা গ্রামের ইউনুচ আলী, বাকু বিশ^াস, ইমাইল হোসেন, আব্দুর রশিদ, মুছা মিয়া, রাসেল হোসেন, মনির হোসেন, মুছা মিয়া, মুকুল হোসেন, আজিম হোসেন, দোস্তক আলী, রফিুকুল ইসলাম, দিপংকর, জুয়েল হোসেন, মিজানুর রহমান, শামীম হোসেন, ভীমসেন, সোবহান হোসেন, আনিচুর রহমান, আলামিন হোসেন, দেয়াড়া গ্রামের মুকুন্দ কুমার, প্রদিপ কুমার, রায়পুর গ্রামের মহব্বত আলী, সাঈদ হোসেন, লক্ষীপুর গ্রামের মধুসুদন, দূর্গা, শালবরাট গ্রামের হুমায়ুন কবির, পাইকপাড়া গ্রামের শিপন, বাশার হোসেন, হাসান আলী, মিরপুর গ্রামের বাইজিদ হোসেন, রামকান্তপুর গ্রামের আব্দুল হান্নান, বাঘারপাড়া মহিলা কলেজের প্রিন্সিপাল আজগর আলী, রামকৃষ্ণপুর গ্রামের দিপংকর, লিটন হোসেন, তিলাব ও দূর্গাপুর গ্রামের রবিউল ও সদর উপজেলার মামড়াখোলা গ্রামের নুরে আলম সিদ্দিকী পলাশ।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, আসমিরা এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী, একাধিক হত্যা মামলার আসামি। বাদী ইছা মেম্বর পাইকপাড়া গ্রামের জলেশ^রের বিলে হাঁস মুরগি, গরু, ছাগল, ভেড়ার খামার করে জীবীকা নির্বাহ করতেন। খামারের কর্মচারী হিসেবে দেখাশুনা করতো হাসমত আলী গাজী। ২০১৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর গভীর রাতে আসামি ইউনুচ আলী, বাকু, আজগর আলী, ইসমাইল হোসেন, আব্দুর রশিদ ও মুছার নেতৃত্বে ৪০/৫০ জন ওই খামারে হামলা চালায়। হামলাকারীরা খামারের সামনে কয়েকটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে কর্মচারী হাসমত গাজীকে মারপিট করে গুরুতর জখম ও গরু, ছাগল, হাঁস, মুরগি, ভেড়া লুট করে নিয়ে যায়। এতে আবু ইছার প্রায় ৭ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। এরপর বাকু, আজগর, ইসমাইল, ইউনুচের প্ররোচনায় ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তা খামার মালিক আবু ইছাকে ধরে ক্যাম্পে নিয়ে পরদিন মিথ্যা মামলা দিয়ে থানায় পাঠিয়ে দেয়। এরপর আবু ইছা আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে ডাকাতির ঘটনায় থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ তা গ্রহণ করেনি। বর্তমানে পরিবেশ অনুকূলে আশায় তিনি আদালতে এই মামলাটি করেছেন।