কল্যাণ ডেস্ক
ভারতে অনুপ্রবেশের দায়ে দুই বাংলাদেশিকে তিন দফা পিটুনি দিয়ে মৌলভীবাজারের জুড়ীর লাঠিটিলা সীমান্তের জিরো পয়েন্টে ফেলে রেখে গেছে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুক্রবার (২১ জুলাই) কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার জাহাঙ্গীর আলম (২৪) ও রূপসার নতুন বাজার এলাকার হৃদয় শেখ (২৪) কাজের জন্য খাগড়াছড়ির রামগড় এলাকা দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন। সেখান থেকে ট্রেনে আগরতলা আসার পথে টিকিট না থাকার কারণে কাঞ্চন কর্নার নামক স্টেশনে নামিয়ে বাংলাদেশি জেনে গণপিটুনি দেওয়া হয়।
তারপর তাদেরকে স্থানীয় থানায় হস্তান্তর করা হয়। সেখানে দুই রাত রেখে আরেকদফা পেটানোর পর রবিবার বিএসএফের হাতে তুলে দেয় পুলিশ। বিএসএফ ওই দিন তাদেরকে ক্যাম্পে আটকে তৃতীয় দফা পিটুনির পর সোমবার ভোরে জুড়ীর লাঠিটিলা সীমান্তের ১৮০০ থেকে ১৮০১ নম্বর পিলারের নালাপুঞ্জি নামক গেটের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ সীমান্তে ফেলে যায়।
এর মধ্যে একজন ভোরে লাঠিটিলা কচুরগুল এলাকার লোকজনকে জানালে, তারা স্থানীয় বিজিবি ও পুলিশকে খবর দিলে তারা উদ্ধার করে জুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। সেখান থেকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর।
লাঠিটিলা বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার মোহাম্মদ গাউস বিষয়টি নিশ্চিত করলেও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া বক্তব্য দিতে অস্বীকৃতি জানান।
জুড়ী থানার ওসি মোশাররফ হোসেন বলেন, বিজিবির অভিযোগ অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বর্তমানে তাদের অবস্থা খারাপ হওয়ার কারণে চিকিৎসাধীন আছে।
জুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সমরজিৎ সিংহ বলেন, বিজিবি ও পুলিশের আইনি জটিলতা শেষে দুজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। তাদের বাড়ি কুড়িগ্রাম ও খুলনায়। তাদের শরীরে আঘাতের প্রচুর চিহ্ন রয়েছে।
