নিজস্ব প্রতিবেদক: নানা আয়োজনে মহান মুক্তিযুদ্ধে যশোর শহরে পাক হানাদার বাহিনীর গুলিতে নিহত দুই সরকারি কর্মকর্তা শহীদ এবিএম মোসলেহ উদ্দীন ও কানুনগো আব্দুল জব্বারের ৫১ তম হত্যাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। হত্যাবার্ষিকী উপলক্ষে দুই শহীদের কবর জিয়ারত, কোরআন খতম, এতিম শিশুদের নিয়ে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার যশোর শহরের একটি হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টে দুই শহীদ পরিবারের উদ্যোগে এই এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে অন্যান্য মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মানবাধিকারকর্মী ও রাইটস যশোরের নির্বাহী পরিচালক বিনয় কৃষ্ণ মল্লিক, জেলা ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি হারুন অর রশিদ, সদস্য শাহবুদ্দিন আলম, শহীদ মোসলেম উদ্দীনের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম স্বপনসহ শহীদ পরিবারের সদস্যরা। অনুষ্ঠানে দোয়া পরিচালনা করেন হাফেজ ইমদাদ হোসেন।
প্রসঙ্গত, যশোর শহরের লোন অফিস পাড়ায় তৎকালীন ‘লাহারাজ কাচারী বাড়ি’ নামক সরকারি বাসভবনে বসবাসরত অবস্থায় ১৯৭১ সালের ৫ এপ্রিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর গুলিতে নির্মমভাবে নিহত হন আকোয়ার্ড স্টেট ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তা (বর্তমানে ভূমি মন্ত্রণালয়) এবিএম মোসলেহ উদ্দীন ও কানুনগো আব্দুল জব্বার। ৫১ বছরেও পাক হানাদার বাহিনীর গুলিতে নিহত দুইজন সরকারি কর্মকর্তার ‘শহিদ’ স্বীকৃতি মেলেনি। ফলে সরকারিভাবে কবরটি সংরক্ষণের উদ্যোগও নেয়া হয়নি। অযতœ অবহেলা কবরের চিহ্নটুকু এখনো আছে। শহিদের স্বীকৃতি ও সরকারিভাবে কবর সংরক্ষণের দাবিতে ২৫ বছর ধরে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে ঘুরছেন দুই শহিদের সন্তানরা। কিন্তু আজও তাদের সেই দাবি পূরণ হয়নি।