নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোর সদরের বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের কিশোর সাগর ও জাহিদুলকে শহরের শংকরপুরে আটকের রেখে চাঁদাবাজির ঘটনায় ১০ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। মামলার তদন্ত শেষে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা এসআই ইবনে খালিদ হোসেন।
অভিযুক্ত আসামিরা হলো, নাজির শংকরপুরের আব্দুল রহিম হাওলাদারের ছেলে রুহুল আমিন হাওলাদার, জাহিদুল ইসলামের ছেলে ইমরান হোসেন, হিরন কাজীর ছেলে নাঈম, হারুন অর রশীদের ছেলে আলীম, স্বাধীন, ইয়ুব আলীর ছেলে সুমন, ওলিয়ারের ছেলে সোয়াত, আসাদুজ্জামান সাগরের ছেলে মেহেদী, মজনু ড্রাইভারের ছেলে মামুন ও ইয়াসিন মোল্যার ছেলে মোস্তাকিন।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ২০২২ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের রশিদ বিশ্বাসের ছেলে সাগর ও তার বন্ধু জাহিদুল নাজির শংকরপুর চাতালের মোড় বিশ্বাস পাড়ার মাঠে ঘুরতে যায়। এ সময় আসামিরা তাদের আটকে রেখে কাছে থাকা টাকা মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। এরপর আসামিরা বাড়িতে ফোন দিয়ে চাঁদা দাবি করে। চাঁদার টাকা না দিতে তাদের হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেয়া হয়। পরদিন আসামিদের দাবিকৃত টাকা নিয়ে শংকরপুর জিরো পয়েন্টে গেলে টহল র্যাবের সাথে দেখা হয়। এ সময় বিষয়টি তাদের জানালে ও র্যাবের পরামর্শে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আসামিরা টাকা নিতে আসলে মাঠপাড়ার সুপারি বাগানের টিনসেড থেকে ৬ জনকে আটক ও তিনটি চাকু উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় অপহৃত সগরের পিতা রশিদ বিশ্বাস ১৩ জনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। এ মামলার তদন্ত শেষে আটক আসামিদের দেয়া তথ্য ও সাক্ষীদের বক্তব্যে ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় ওই ১০ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা। ঘটনার সাথে জড়িত থাকলেও মৃত্যু হওয়ায় একজনসহ অপর দুই জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ না পাওয়ায় তাদের অব্যাহতির আবেদন করা হয়েছে চার্জশিটে। চার্জশিটে অভিযুক্ত সুমন, সোয়াত, মেহেদী, সুমন ও মোস্তাকিনকে পলাতক দেখানো হয়েছে।