কল্যাণ ডেস্ক
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ও দুই কমিশনার পদত্যাগ করেছেন। মঙ্গলবার তারা পদত্যাগ করে দুদক সচিবের কাছে পদত্যাগপত্র দিয়েছেন। দুপুর সোয়া ২টার দিকে তারা একসঙ্গে দুদকের প্রধান কার্যালয় ত্যাগ করেন। বিষয়টি জানতে চাইলে পদত্যাগী চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “আমি এ বিষয়ে এখনই কথা বলছি না, সচিবকে জিজ্ঞেস করুন। “রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাপত্র পাঠিয়ে দিয়েছি।”
দুপুর আড়াইটার দিকে দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন বলেন, “আমরা একটু পর জানাচ্ছি। একটু অপেক্ষা করুন।”
সচিব দুদকের ৮ কমিশনের মহাপরিচালকের সঙ্গে এ বিষয়ে সভায় বসেছেন। দুদকের চেয়ারম্যান হিসেবে মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ দায়িত্ব পান ২০২১ সালের মার্চে। তার সঙ্গে জহুরুল হককে কমিশনার (তদন্ত) হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এর দেড় বছর পর আছিয়া খাতুনকে কমিশনার (অনুসন্ধান) মোজাম্মেল হক খানের স্থানে নিয়োগ দেওয়া হয়।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর রাষ্ট্র সংস্কারের দাবি ক্রমশ জোরাল হয়ে ওঠে। এরপর থেকে ব্যাপক রদবদল দেখে রাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা। তবে যেন কাটছে না অচলাবস্থা।
এবার সেই ধাক্কা দুদকেও এল। গণতন্ত্রের মতোই সুশাসনের সূচকেও বাংলাদেশের অবস্থান বরাবরই তলানিতে। উল্টো দিক থেকে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় ওপরের দিকেই বাংলাদেশের অবস্থান। বার্লিন-ভিত্তিক দুর্নীতিবিরোধী আন্তর্জাতিক সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআই) ২০২৩ সালে দুর্নীতির যে ধারণাসূচক প্রকাশ করেছে, সেখানে আগের বছরের তুলনায় দুই ধাপ নিচে নেমে গেছে বাংলাদেশ।
সূচক অনুযায়ী, বিশ্বের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান এখন দশম। রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলো সংস্কারে প্রথমে ছয়টি ও পরে আরও পাঁচটি কমিশন গঠন করেছে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় আসা অন্তর্বর্তী সরকার। দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান করা হয়েছে দুর্নীতি প্রতিরোধে কাজ করা প্রতিষ্ঠান ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) ইফতেখারুজ্জামানকে।