নিজস্ব প্রতিবেদক
দু’বছর আগের ঘটনায় যশোর জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এবং বাঘারপাড়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার বিপুল ফারাজীসহ তিন ইউনিয়নের ৩০৮ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা আসামি হয়েছেন আরো সাড়ে তিনশ’ থেকে চারশ’ জন আসামি। গত বৃহস্পতিবার রাতে বন্দবিলা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসাংগঠনিক সম্পাদক খোকন লস্কর বাদী হয়ে এই মামলা করেছেন। পুলিশ এই মামলার পাঁচ আসামিকে শুক্রবার বিকেলে আটক করেছে।
অন্য আসামিরা হলেন, রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনজুর রশীদ স্বপন, জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য সাইফুজ্জামান চৌধুরী ভোলা, জহুরপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান দিলু পাটোয়ারী, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুস সামাদ মন্ডল, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ ডাকু, লেন্টু রায়, রুবেল, সনজিৎ ন্যাড়ো, রিজভী রেজা, ইউসুফ হোসেন হিটলার, শংকর, মহর আলী ওরফে মহর কসাই, সোহাগ হোসেন, হীরা, মোকছেদ আলী, শরীফুল ইসলাম লাদেন, নাজমুল, আজিজুর রহমান, সনজিৎ, তেইম, রিংকু, রফিকুল, অসীম, শরীফুল ইসলাম, ইব্রাহিম, লিটন সরদার, বিলাস ডাক্তার, সন্তোষ, আরিফ, ইসরাইল কাজী, পাঁচো, বৃন্দা, শক্তি ঢালী, রফিক, মাসুদ, নাল্টু, কাশেম জোয়ারদার, জিয়া, মিজানুর, জিকু, শিপন কাজী, জুয়েল, সাকীব, লতা, অন্তীম, মুন্তাজ হোসেন, নরোত্তম, শফিয়ার, তায়েব জোয়ারদার, আক্কাস, সাজ্জাদ, ইসমাঈল, নাজমুল, কাজী রবি, কবির, মশিয়ার, মাছুম রেজা খান, বরুন, মইনুল, ত্রিশংকর, কুনটে, আকতার, মিন্টু, সুজন সাকিব, বাবলু, টিটো, মিলন, নাজমুল, এনামুল হক, রাজিব, জিয়া, কামরুল, বিপ্লব ঠাকুর, লতিফ, দাউদ মন্ডল, জাকিয়া সুলতানা, মহিদুল, মাহাবুর কাজী, আমানত হোসেন, কামাল হোসেন, রাজু হোসেন, তরুন হোসেন, জামির হোসেন, আকরাম হোসেন, আতিয়ার, ফারুক হোসেন, সালাম হোসেন, শের আলী, জাকির হোসেন, রিয়েল হোসেন, বিল্লাল হোসেন, কবির হোসেন, লিমন হোসেন, সবুর, গুলশান, টোকন শেখ, আজিজুর শেখ, সোহেল শেখ, গোলাম মোস্তফা, নাজমুল শেখ, মোজাহার শেখ, পলাশ, ইউনুচ শেখ, আব্দুল কাদের শেখ, শহিদুল, লিয়ন, তানসেন, তুষার মাষ্টার, নজরুল বিশ^াস, কালাম হোসেন, মশিয়ার, আলম খাঁ, আতিয়ার, সেলিম রেজা বাদশা, মারুফ, রাতুল, মতলেব, বকুল, জিল্লুর রহমান, হাফিজুর শেখ, মুস্তাক, রায়হান, শামিম, জামির, মিজানুর, সাইফুল, মফিজ, কামরুল, জসিম আলী, কামরুল, মহব্বত, হাসনাত, আলমগীর, আজিজ বিশ^াস, নুর ইসলাম, মুস্তাক, মহাসিন, সুমন, ইমাম, রুবেল, আক্তার হোসেন, আদম, জহির, ইউছুপ আলী, নাহিদ হাসান, মুন্না, বাধন, নুর হোসেন পাটোয়ারী, নাজিম উদ্দিন পাটোয়ারী, ফুল মিয়া পাটেয়ারী, আব্দুর রহমান, কামাল পাটোয়ারী, ইদ্রিস পাটোয়ারী, রাজ্জাক বিশ^াস, আবু তাহের পাটোয়ারী, আয়নাল, নাজিম উদ্দিন, রসিদ, করিম, রিজাউল ইসলাম, কাদের, মতি, আবু সাঈদ, কামরুল, মাসুদ রানা, মুনছুর, কায়েম মন্ডল, জসিম হোসেন, সাহেব আলী, আতিয়ার, আবু সাইদ, শামসুর, রঞ্জু, দেলোয়ার হোসেন, সেলিম, রাজু মিয়া, হেলাল, মিরাজ, জাফর মোল্লা, মনিরুল ইসলাম, রবিউল ইসলাম, আবু সিদ্দিক, হারুন, ফিরোজ হোসেন, আমিনুর রহমান, বদর উদ্দিন, আলম, শরিফুল ইসলাম, রয়েল, চঞ্চল, মশিয়ার কাজী, টিপু, আজিম মুহুরী, রুবেল হোসেন, রেজাউল মুন্সী, শাহিন হোসেন, আরমান, মামুন মুন্সী, আব্দুল মান্নান, আলী হায়দার টপি, শ্রী সুনিল, শ্রী সুকুমার, ইমরান হোসেন, শুভ শেখ, মিন্টু চৌধুরী, স্বপন সরকার, আশরাফ আলী, আয়নাল, রাজু আহমেদ, বিশ্বজিৎ শিকদার, ডাক্তার. মিজানুর রহমান খোকন, কালাম সরদার, সোহাগ হোসেন, মাহাবুর রহমান, সাহাবার বিশ^াস, এনামুল মাষ্টার, রাসেল রানা, রকিদুল ইসলাম, সমির কুমার রায়, নাজমুল মোল্লা, সঞ্জয় কর্মকার, গুরুপদ দত্ত, বিনয় বিশ^াস, মাসুদ রানা, মিলর পোদ্দার, উজ্জল পোদ্দার, রাশিদুর, আসাদুল, জয়নাল মেম্বার, ময়না, ফসিয়ার, ফজলুর রহমান, মুন মিয়া, রব মুন্সি, রানা, রাব্বি, রিপন মুন্সী, মাহাবুব মুন্সী, আবুল সরকার, বদর, আযাদ মুন্সী, সুবির মজুমদার, সুকান্ত বিশ^াস, ইমন বিশ^াস, আশরাফুল ইসলাম, আমানত, কারী, আলী মন্ডল, তোহিদুল লস্কর, শাহআলম, সেলিম, ইউসুফ মুন্সি, অজিত লস্কর, মহিদুল্ল্যা, রামপাল, আজিজুর রহমান, প্রশান্ত, মাসুম, সুরমান মোল্লা, ছুরোত আলী, ছদর মিনে, বুলবুলি, নুর ইসলাম মেম্বার, আব্দুল করিম, রেজাউল ইসলাম, বকুল মিয়া, মান্নান, বাশার, জাহিদ হোসেন, মমিন মেম্বার, তুহিন, জাহাঙ্গির, শিপন, নাছির বিশ^াস, শাহজালাল, শেখ মুসা, সবুর, বাদল ফরাজী, বিপুল, আহসান কবির বাবু, প্রিন্স, আতাউল্লাহ সোহান, সজিব, পারভেজ, নাহিদ, মুজাহিদ, আমিনুর, বোরহান, এনামুল, কামরুল, আমিনুর, ইকবাল, রজিবুল, শিমুল, হালিম ডাক্তার, শিয়াবুর, টোকন, রাছেল, জাকির, গোলাম রসুল, কামরুল, জিএম হোসেন, কামরুল ইসলাম, নাজমুল ইসলাম, আরজ আলী।
আসামিরা জহুরপুর, বন্দবিলা ও রায়পুর ইউনিয়নের বাসিন্দা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল আলিম বলেন, এ মামলায় এজাহারভুক্ত পাঁচ জনকে শুক্রবার সন্ধ্যায় রায়পুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন, সেলিম রেজা বাদশা, তানসেন, কবির ও জহিরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে ২০২৩ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি বিকেল সাড়ে ৩টায় বিএনপির কেন্দ্রীয় ঘোষিত ইউনিয়ন পদযাত্রার কর্মসূচি চলাকালে ভাঙচুর ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটনার অভিযোগ করা হয়েছে। ওই সময় আসামিরা বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও কৃষকদলের ১২০ থেকে ১৫০ জন নেতাকর্মী বিএনপির পদযাত্রায় অংশ গ্রহনের জন্য বন্দবিলা ইউনিয়নের ভাটারআমতলায় পৌছালে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হাতে থাকা দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র, লাঠি, হকিস্টিক, ছুরি, চাপাতি, রামদা নিয়ে পরিকল্পিতভাবে অতর্কিত হামলা করে। এসময় বিএনপি’র নেতাকর্মী রক্তাক্ত জখম হয়। ঘটনার সময় আসামিরা ৫ থেকে ৭টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় বলে দাবি করা হয়।
