নিজস্ব প্রতিবেদক
দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রসমাবেশে যোগ দিয়েছেন যশোর জেলা ছাত্রলীগের নেতারা। শুক্রবার দুপুরে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদক ও শোকজ পাওয়া ১১ নেতারা পৃথক দুটি মিছিল নিয়ে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রসমাবেশে যোগ দেন। বৃষ্টি উপেক্ষা করে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রাসহকারে ছাত্রসমাবেশে প্রধানমন্ত্রীর দিকেনির্দেশনামূলক বক্তব্য শুনেন। এর আগে, এই সমাবেশকে ঘিরে ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে রূপ পায়। ছাত্রসমাবেশ সফল করতে যশোরে পাল্টা প্রস্তুতি সভার আয়োজন করে আরেক পক্ষ। একটি পক্ষ সভা উপস্থিত না থাকায় অন্যপক্ষের ১১ নেতাকে শোকজ করে। পরে শোকজ পাওয়া সেই ১১ নেতা পাল্টা প্রস্তুতি সভা করে। সেই সভায় বক্তারা সংগঠনের জেলা শাখার সভাপতি সম্পাদককে তিরস্কার করে বক্তব্য দেন।
নেতাকর্মীরা জানিয়েছে, প্রায় দুই হাজার ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রসমাবেশে যোগ দিয়েছেন যশোর জেলা ছাত্রলীগের শোকজ পাওয়া ১১ নেতা। এদিন দুপুরে বিশাল মিছিল নিয়ে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় ভিসি চত্বর থেকে ছাত্রলীগের ছাত্রসমাবেশে যোগ দেন তারা। নেতৃবৃন্দ হলেন যশোর জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ইমরান হোসেন, কায়েস আহমেদ রিমু, আব্দুর রউফ পিন্টু, রনি হাওলাদার, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রিফাতুজ্জামান রিফাত, আসাদুজ্জামান আসাদ, আশিকুর রহমান হৃদয়, মাসুদ হাসান কৌশিক, সাংগঠনিক সম্পাদক তরিকুল ইসলাম, রকিবুল আলম হিরন, ফাহমিদ হুদা বিজয়, অভয়নগর উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক শাহ খালিদ মামুন, ঝিকরগাছা ছাত্রলীগের সভাপতি, এহসানুল হাবিব শিপলু, চৌগাছা উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহবায়ক হাসান রেজাসহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা।
অপরদিকে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সালাউদ্দিন কবির পিয়াস ও সাধারণ সম্পাদক তানজীব নওশাদ পল্লবের নেতৃত্বে দুই সহস্রাধিক নেতাকর্মী সমাবেশে যোগ দেন। সভাপতি-সম্পাদক ছাড়াও জেলা ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
