নিজস্ব প্রতিবেদক
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম দিনে দুর্বৃত্তদের ছোড়া ইটপাটকেল ও লাঠিরসোটার আঘাতে যশোরে ১১জন আহত হয়েছেন। রোববার শহরের বিভিন্ন স্থানে এঘটনাটি ঘটে। আহতরা হলেন, সদরের চাচড়া এলাকার আছমা বেগম (৩২), শহরের বেজপাড়া এলাকার অনন্যা আক্তার (২৭), শার্শার উলশী গ্রামের রেজাউল ইসলামের মেয়ে শরিফা আক্তার (১৯), শহরের বারান্দি মোল্লাপাড়ার আবিদ হাসান (২৭), উপশহরের সি ব্লকের রিংকু হোসেন (২০), ঝিনাইদাহ সদরের সামসের নগরের মিঠাপুকুর এলাকার আলী হোসেনের ছেলে সাকিরুল হাসান (২২), শহরের বেজপাড়া বুনোপাড়া এলাকার এজহার আলী (২৫), তার ছোট ভাই দিপু আলম (১৮), বাবা গোলাম মোস্তফা (৬৫) ও মা শাহানাজ বেগম (৬০)। এছাড়াও ইমদাদুল হক নামে এক ওষুধ কোম্পানিতে চাকরিরত একজন পথচারীকে পিটিয়ে আহত করেছে দুর্বৃত্তরা। নড়াইল জেলার বরশোল গ্রামের বাসিন্দা তিনি। এরমধ্যে আবিদের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ঢাকায় রেফার করে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক।
অনন্যা ও শরিফা জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা প্রথম দিনের অসহযোগ আন্দোলন কর্মসূচি পালন কালে তারা একটি শান্তিপূর্ণ মিছিল নিয়ে চাচড়া থেকে মনিহার যাচ্ছিলেন। প্রতিমধ্যে আরএন রোড এলাকায় পৌছালে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে তাদের উপর হামলা করেন। এসময় তিনিসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।
আহত রিংকু হোসেন বলেন, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের একটি অংশ মিছিল নিয়ে মনিহারে যাওয়ার সময় আমরা দোকানের সাটার টেনে বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলাম। এমন সময় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে কিছু দুর্বৃত্ত ইটপাটকেল ছোড়ে। এতে তিনি ও তার আর এক সহকর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন। স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
আহত এজহার আলী জানান, আন্দোলনকারী সন্দেহ তাকেসহ পরিবারের চার সদস্যকে পিটিয়ে আহত করে দুর্বৃত্তরা। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। এর মধ্যে তার অবস্থা গুরুতর হওয়া তাকে ভর্তি রেখে বাকিদেরকে জরুরি সেবা দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
আহত ইমদাদুল জানান, সন্ধ্যার একটু আগে শহরের লালদিঘীর পাড়স্থ বিএনপি’র পার্টি অফিসের সামনে গিয়ে দরজা ভেঙে অফিসে আগুন লাগিয়ে দেয়। এসময় তিনি সেখান দিয়ে যাওয়ার সময় ১৫ থেকে ২০ জন যুবক লাঠিসোটা হাতে নিয়ে তাকে আচমকা পিটিয়ে আহত করেন। পরে আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করেন।
হাসপাতালে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক হাসিব মোহাম্মদ আলী হাসান জানান, আহতদের মধ্যে আবিদের অবস্থা গুরুতর। তার মাথার হাড় ভেঙ্গে গিয়েছে। তাকে ওয়ার্ডের কর্তব্যরত চিকিৎসক ঢাকায় রেফার করেছেন।
