ক্রীড়া ডেস্ক
এশিয়া কাপের সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে দুশোর আগেই অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিমের হাফসেঞ্চুরি সত্ত্বেও টাইগারদের ইনিংস থেমেছে মাত্র ১৯৩ রানে। জয়ের জন্য ১৯৪ রান করতে হবে স্বাগতিক পাকিস্তানকে।
বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে আগের ম্যাচের মতো ওপেনিংয়ে নেমেছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। আফগানদের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করলেও পাকিস্তানের বিপক্ষে জ্বলে উঠতে পারেননি, নাসিম শাহর বলে শূন্য রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি।
লিটন দাস মেরে খেলা শুরু করলেও শাহিন শাহ আফ্রিদির শর্ট অফ লেন্থের বলে খোঁচা মেরে মোহাম্মদ রিজওয়ানের কাছে ক্যাচ তুলে দেন। ১৩ বলে ১৬ রান করে মাঠ ছাড়েন তিনি। নাঈম শেখ হারিস রউফের বলে তার কাছেই ক্যাচ তুলে দেন। হৃদয় আউট হন দলীয় ৪৭ রানে। ফলে ভীষণ চাপে পড়ে টাইগাররা।
দলকে বিপদ থেকে উদ্ধার করেন সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম মিলে। পাকিস্তানের বোলারদের ওপর চাপ বাড়িয়ে বড় জুটি গড়ে তুলেন তারা। এরইমধ্যে হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন সাকিব। ৫৭ বলে ৫৩ রান করার পর ফাহিম আশরাফের বলে ফখর জামানকে ক্যাচ দেন তিনি। মুশির সঙ্গে তার জুটি হয় ঠিক একশ রানের।
মুশফিক এরপর শামিম পাটোয়ারিকে নিয়ে ইনিংস গড়ায় মনযোগী হন। হাফসেঞ্চুরিও তুলে নেন তিনি। ফিনিশারের ভূমিকায় সুযোগ পাওয়া শামিম আফ্রিদির বলে দারুণ একটি ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন। কিন্তু ইফতেখার আহমেদের বলে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। ২৩ বলে ১৬ রান করেন এ ক্রিকেটার।
শামিম আউট হওয়ার সময় স্কোর বোর্ডে বাংলাদেশের রান ছিল ১৭৪, তখনও আশা দেখছিল টাইগাররা। কেননা উইকেটে যে ছিলেন একজন মুশফিকুর রহিম, অনেক আগেই যিনি মিস্টার ডিপেন্ডেবল হিসেবে খ্যাতি পেয়েছেন। কিন্তু এদিন আর ভরসার পাত্র হয়ে উঠতে পারেননি তিনি। ৬৪ রান করার পর সেই রউফের শিকারে পরিণত হন তিনি।
এরপর টপাটপ আরও আরও ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। তাসকিনকে রউফ, আফিফ হোসেন ও শরিফুল ইসলামকে নাসিম শাহ প্যাভিলিয়নের পথ দেখান।