মুহাম্মদ ফয়সুল আলম ।। সাদাছড়ি দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী মানুষের চলাচলের জন্য শুধু একটি সহায়ক উপকরণই নয় এটি তাদের পরিচিতির প্রতীক,স্বাধীনভাবে ও নির্বিঘ্নে পথ চলার সহায়ক শক্তি।আন্তর্জাতিক বিশ্ব সাদাছড়ি নিরাপত্তা দিবস পালন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মানুষকে সমাজের মূলস্রোতধারায় একীভূতকরণের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রয়াস।
পৃথিবীর অন্যান্য কল্যাণ রাষ্ট্রের মতো বাংলাদেশ সরকারও সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনি সুদৃঢ়করণের লক্ষ্যে দেশের দুস্থ,অবহেলিত,পশ্চাৎপদ,দরিদ্র,এতিম, প্রতিবন্ধী এবং অনগ্রসর মানুষের কল্যাণ ও উন্নয়নের লক্ষ্যে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে ব্যাপক ও বহুমুখী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। অনগ্রসর অংশ হিসেবে বর্তমান সরকার প্রতিবন্ধী ব্যক্তির প্রতি বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করছে।
সাংবিধানিকভাবে বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের জাতি, ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ নির্বিশেষে সমসুযোগ ও সমঅধিকার রয়েছে এবং জাতীয় উন্নয়নে দেশের সকল নাগরিকের সমঅংশীদারিত্বেরও সুযোগ সৃষ্টি একটি রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব। এ ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধী নাগরিকদের রয়েছে উন্নয়নে অংশগ্রহণের পূর্ণ অধিকার। প্রতিটি প্রতিবন্ধী নাগরিক প্রথমে নাগরিক, পরে প্রতিবন্ধী। কিন্তু আমাদের দেশের সামগ্রিক অবস্হা পর্যালোচনা করে দেখা যায় প্রতিবন্ধী নাগরিকদের প্রতি আমাদের অজ্ঞতা, ভয় ও কুসংস্কারাচ্ছন্ন মনোভাবের কারণে পারিবারিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক কর্মকা- তথা দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে তাদের অংশগ্রহণ ও অংশীদারিত্বেও অধিকার খুবই নগণ্য।
পৃথিবীর সবদেশেই প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, শিশু রয়েছে। এটা স্বীকৃত যে, কোনো দেশের জনসংখ্যার শতকরা ১০ ভাগ কোনো-না-কোনোভাবে শারীরিক বা মানসিক প্রতিবন্ধিতার শিকার। আমাদের প্রায় ১৭ কোটি মানুষের মধ্যে ১ কোটি ৬০ লাখ প্রতিবন্ধী রয়েছে। তবে প্রতিবন্ধী মানুষের পরিসংখ্যানের হিসেব দেওয়া খুব সহজ বিষয় নয়। বাংলাদেশে মোট প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর মধ্যে ১৫.১ শতাংশ দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী মানুষ। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তি বলে বিবেচিত হবেন যারা সম্পূর্ণ দৃষ্টিহীন; উভয় চোখে একেবারে দেখতে পান না যারা বা যথাযথ লেন্স ব্যবহারের পরও দৃষ্টির তীক্ষ্ণতা (ারংঁধষ ধপঁরঃু) ৬/৬০ বা ২০/২০০- এর কম যা দৃষ্টি ক্ষেত্রে (ারংঁধষ ভরবষফ) ২০ ডিগ্রি বা তার চেয়ে কম; আংশিক দৃষ্টিহীন (ঢ়ধৎঃরধষ নষরহফহবংং) যারা, যা এক চোখে একেবারেই দেখতে না পারাকে; বোঝায় ক্ষীণদৃষ্টি (ষড়ি ারংরড়হ) যাদের; সার অর্থ উভয় চোখে আংশিক বা কম দেখতে পারা বা যথাযথ লেন্স ব্যবহারের পরও দৃষ্টি তীক্ষ্ণতা (ারংঁধষ ধপঁরঃু) ৬/১৮ বা ২০/৬০ এবং ৬/৬০ বা ২০/২০০- এর মধ্যে; বা দৃষ্টিক্ষেত্র (ারংঁধষ ভরবষফ) ২০/৪০ ডিগ্রির মধ্যে। এসব দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী মানুষ চলাচলের জন্য হাতে সাদাছড়ি ব্যবহার করে থাকেন, যাতে তাদের চলাচল সহজসাধ্য হয়।
সর্বপ্রথম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের নিয়ে একটি দিবসের সূচনা করে। এটিই ১৯৬৪ সালে সাদাছড়ি নিরাপত্তা দিবস হিসেবে পালন করা শুরু হয়। প্রতিবছর ১৫ অক্টোবর সাদাছড়ি দিবস পালন করা হয়। ওহঃবৎহধঃরড়হধষ ঋবফবৎধঃরড়হ ড়ভ ইষরহফ বর্তমানে ডড়ৎষফ ইষরহফ টহরড়হ ১৯৬৯ সালে শ্রীলঙ্কার কলম্বোয় প্রথম বিশ্ব অন্ধ সম্মেলনের আয়োজন করে, যা ঐ বছর ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়। ঐ সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধিও উপস্থিত ছিলেন। ১৯৭০ সালের ১৫ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত বিশ্ব সাদাছড়ি দিবস পালন করা হচ্ছে যথেষ্ট গুরুত্বের সাথে।
বাংলাদেশে ৬ কোটি ৭০ লাখ শিশু রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ১৩ লাখ শিশুর দৃষ্টিত্রুটি রয়েছে এবং ৫১ হাজার ২ শত জন শিশু অন্ধ। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রাথমিক পর্যায়ে স্বল্পমাত্রায় দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীতা প্রতিরোধ বা প্রতিকারের অভাবে মানুষ অন্ধ হয়ে যাচ্ছে। অথচ একটু সচেতন থেকে সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে প্রতিবন্ধীদের প্রায় ৮০ শতাংশকেই সুস্থ করে তোলা সম্ভব।
আমাদের দেশের শিশুদের চোখের সমস্যা বাড়ছে। এর মধ্যে শহরের শিশুদের চোখের সমস্যা বেশি। চোখের বিভিন্ন সমস্যার কারণে স্কুলে শিশুদের পড়ালেখা ও অন্যান্য শিক্ষা কর্যক্রমের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। চোখের সমস্যার কারণে শিশুরা ক্লাসে মনোযোগ হারায়, নিজেকে গুটিয়ে রাখে। শিশুকে যদি সময়মতো চশমা ও অন্যান্য চিকিৎসা দেওয়া যায়, তাহলে শিশুর দৃষ্টিশক্তি হারানোর আশঙ্কা থাকে না। সময়মতো ব্যবস্হা না নিলে শিশুদের অন্ধত্ব বরণ করতে হয়। ক্ষীণদৃষ্টির কারণে শিশুরা পড়াশোনা এবং পরর্বতীতে কর্মক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়ে।
প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর একটি অংশ দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী। ১৯৭৪ সালে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য সমন্বিত দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করা হয়। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিশুরা যাতে শিক্ষার সুযোগ পায় এবং তুলনামূলকভাবে ব্যয়বহুল প্রাতিষ্ঠানিক কর্মসূচির পরিবর্তে স্হানীয় বিদ্যালয়ে চক্ষুষ্মান শিক্ষার্থীদের সাথে বিশেষ ব্যবস্হাপনায় পড়াশুনা করতে পারে এবং নিজস্ব পরিবেশ ও আবস্হার সাথে তাল মিলিয়ে চলাফেরা করতে পারে সে উদ্দেশ্যে সমাজসেবা অধিদফতর ৬৪টি জেলায় ৬৪টি সমন্বিত দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। প্রতিটি কার্যক্রমে একজন করে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত রিসোর্স শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিশুদের ব্রেইল পদ্ধতিতে শিক্ষা দেওয়া হয়। আসন সংখ্যা ১০। সমন্বিত দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষাকার্যক্রম ও বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণি থেকে এসএসসি পর্যন্ত শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। সমন্বিত দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীর মধ্যে ২৮টি আবাসিক এবং ৩৬টি অনাবাসিক প্রতিষ্ঠান, অনুমোদিত আসন সংখ্যা ৬৪০। আবাসিক প্রতিষ্ঠানসমূহের দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীকে ভরণপোষণ, শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, চিকিৎসা, চিত্তবিনোদন ও পুনর্বাসনের মাধ্যমে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করা হচ্ছে।
বাংলাদেশে প্রতিবন্ধিতা ও প্রতিবন্ধী মানুষের সমস্যা সমাধানে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। গৃহীত পদেক্ষপগুলোর মধ্যে প্রায় সবধরণের সেবা ও অধিকারভিত্তিক কর্মপদ্ধতি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। সম্প্রতি এই ধারার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বা যার সুবিধা প্রয়োগ করে সাদাছড়িসহ দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী মানুষের অগ্রগতির আজ অনেকাংশে দৃশ্যমান। বর্তমান শিক্ষাব্যবস্হায় দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের সীমাবদ্ধতা দূরীকরণের আইসিটির বহুমুখী প্রয়োগের বিপুল সম্ভাবনা বিদ্যমান। প্রতিবন্ধী মানুষের সুনির্দিষ্ট তথ্য ও যোগাযোগ চাহিদাকে বিবেচনায় রেখে যথাযথ ও সচেতনভাবে আইসিটি ব্যবহার করা গেলে, বিশেষ করে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী মানুষের টেকসই উন্নয়নে এই প্রযুক্তির প্রসার ও প্রয়োগ হতে পারে এক কার্যকর হাতিয়ার। তাই দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য এখন শুধু সাদাছড়ি আর হুইল চেয়ার নয়, প্রয়োজন তাদের হাতে কম্পিউটার, ল্যাপটপ কিংবা স্মার্টফোন। এই অধিকারের কথা জাতিসংঘ কর্তৃক প্রণীত প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার সনদ এর-৯ ধারায় স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে।
বর্তমান সরকার দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের চলাচল ও শিক্ষায় আইসিটি ব্যবহারে কিছুটা সহজগম্যতা নিশ্চিত করেছেন। এ ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা পালন করছে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রকল্প। সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বের অনেক দেশে ব্রেইল (দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের লিখন পদ্ধতি) কম্পিউটারের ব্যবহার, ডিজিটাল টকিং বুক বা কথা বলিয়ে বই ও কম্পিউটারের পর্দার লেখা পড়তে পারে এমন সফটওয়্যার যেমন ই-টেক্সট ও মাল্টিমিডিয়াভিত্তিক ক্লাসরুম ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।বাংলাদেশে প্রায় ৪০ লাখ ছাত্র ছাত্রী ২৩ হাজার ৫ শত মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুমের মাধ্যমে শিক্ষাগ্রহণে অংশ নিচ্ছে।
চিকিৎসকদের পরামর্শ হলো জন্মের পরপরই শিশুকে শাল দুধ খাওয়াতে হবে। মায়ের বুকের দুধ শিশুর ছয়মাস বয়স পর্যন্ত খাওয়াতে হবে। শিশু জন্মের পর ইপিআইয়ের সব টিকা নিতে হবে। ১ থেকে ৫ বছর পর্যন্ত শিশুদের ৬ মাস অন্তর উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়াতে হবে। শিশু দেখতে পায় না, এ ধরনের কিছু বুঝতে পারলে, শিশুর চোখের মনি সাদা হলে, শিশুর চোখে আঘাত লাগলে সঙ্গে সঙ্গে শিশুকে চক্ষু বিশেষজ্ঞের কাছে নিতে হবে। শিশুর চোখে চক্ষু চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধ ব্যবহার করা যাবে না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিবন্ধীসহ সকল মানুষের জন্য জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলার আহবান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিসহ সকল ধরনের প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার নিশ্চিত করতে আমরা যুগোপযোগী করে ‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন, ২০১৩’ করেছি যেখানে সাধারণ মানুষের মতো প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সমঅধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে।
সাদাছড়ির বিষয়টি এখন মোটামুটি সকলেই জানে। সাদাছড়ির গুরুত্ব সম্পর্কে যানবাহন চালককে সাবধান করে তুলতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষ বেশ আন্তরিক। তারা ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়ার সময় শর্ত হিসেবে তাদের কর্মসূচিতে বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করতে পারে। জাতিসংঘে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার সনদের ১৮ নম্বর ধারায় চলাচল ও জাতীয়তার স্বাধীনতার বিষয়ে উল্লেখ রয়েছে। রাস্তায় জেব্রা ক্রসিং-এ পারাপারের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যসহ পথচারীরাও পারেন দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের সহায়তা করতে।
দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের প্রায় ৯০ ভাগ ঘটনা ঘটে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে। অপুষ্টি, চোখের স্বাস্হ্য সম্পর্কে অসচেতনতা এবং চিকিৎসার অভাবে সমস্যাগুলো বেশি পরিলক্ষিত হয় এখনো। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীরা পিছিয়ে পড়ছে, তাদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন স্হবির হয়ে যাচ্ছে। একসময় রাষ্ট্রই তাদেরকে ‘বোঝা’ হিসেবে দেখবে, যা উন্নয়নের পথে বাধা।
উন্নত প্রযুক্তি ও সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির মাধ্যমে পশ্চিমাদেশগুলো দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জীবনযাত্রাকে অনেক সহজ করে তুলেছে। আমাদের সমাজে অপরের প্রতি সহানুভূতিশীল আচরণের স্বাভাবিক প্রবণতার মাধ্যমে আমরা সেই অভাব পূরণ করতে পারি। শিক্ষাপ্রতিবন্ধী মানুষকে সমাজে মাথা উঁচু করে বাঁচতে শেখায়। আমাদের দেশের মোট প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর ৩২ শতাংশ দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী এবং এদের বড়ো একটি অংশ স্কুলগামী উপযোগী শিশু। কম্পিউটারভিত্তিক বহুমাত্রিক মাধ্যমের সুবিধাপ্রাপ্তি ও ব্যবহার নিশ্চিত করা গেলে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী বেশিরভাগ শিশুকে শিক্ষা ও শিক্ষা পরবর্তীকালে কর্মের সঙ্গে সম্পৃক্ত করা সম্ভব হবে।এ ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি হতে পারে একটি অন্যতম উপায়। এতে করে ঘরে বসে ওয়েবসাইট তৈরি, গ্রাফিকস ডিজাইনসহ বিবিধ বিষয়ে ফ্রিল্যাসিং কিংবা অফিসে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিরাও কম্পিউটারে অফিস প্যাকেজের ব্যবহার, তথ্য ও যোগাযোগে ইন্টারনেট; ই-মেইল, ফেইসবুকসহ সামাজিক মাধ্যমগুলো সহজে ব্যবহার করে শিক্ষা ও কর্মে উভয় জায়গায় দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা টেকসই উন্নয়ন সাধন করতে সক্ষম হবে। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী মানুষদের আমাদের জন্য সম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। এ দায়িত্ব সরকারসহ আমাদের সবার।
পিআইডি