নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোর জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ বলেছেন, ভোটের ব্যবস্থা ধ্বংস করেছেন খালেদা জিয়া, জিয়াউর রহমান ও এরশাদ। আর দেশের গণণতন্ত্র, দেশকে সুরক্ষিত ও খাদ্য নিরাপত্তা দিয়েছেন শেখ হাসিনার সরকার। কিন্তু এই সরকারের সাজানো-গোছানো দেশকে ধ্বংস করতে মরিয়া বিএনপি-জামায়াতের আগুন সন্ত্রাসীরা। তাদের সেই স্বপ্ন দুঃস্বপ্ন থেকে যাবে। শনিবার বিকেলে শহরতলীর নওয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস নৈরাজ্যের প্রতিবাদে শান্তি সমাবেশে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বূর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন। সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের পথরুদ্ধ করে, খুনিদের দেশে-বিদেশে পুরস্কৃত করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকেই ধ্বংস করতে চেয়েছিল জিয়াউর রহমান। ৭৫ পরবর্তী বাংলাদেশ ছিল অন্ধকারাচ্ছন্ন, যার পুরোটা পাকিস্তানের আদলে সাজাতে চেয়েছিল জেনারেল জিয়া। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে যদি দেশে ফিরে না আসতেন তাহলে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসত না। আর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না এলে কোনোদিন ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকা-ের বিচার হতো না। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মাধ্যমে জাতি কলঙ্কমুক্ত হতো না।
বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা, শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম মাহমুদ হাসান বিপু, জেলা আ.লীগের সাবেক সদস্য ইঞ্জিনিয়ার কাজী আলমগীর হোসেন, সদর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ বিপুল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ নূরে আলম মিলন, নওয়াপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান হুমায়ন কবীর তুহিন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রওশন ইকবাল শাহী, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ফুল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সদস্য কামরুজ্জামান, ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক যুগ্ম সাম্পাদক সোহেল রানা। উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক জিয়াউর হাসান হ্যাপী, নেতা রেজাউল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মশিয়ার রহমান সাগর, শ্রমিক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাইফুর রহমান, নেতা আয়ুব হোসেন, যুবলীগ নেতা মুনসুর আলম, ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফাহমিদ বিজয়, নেতা আবু তালেব, ছাত্রনেতা মোমেল হোসেন, জুয়েল ও তন্ময়, কৃষকলীগ নেতা খলিল, আমিরুল, মেজবা উদ্দীর সুমন প্রমুখ।