নিজস্ব প্রতিবেদক
কেন্দ্রীয় বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেছেন, যেভাবে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা প্রতিনিয়ত ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ১৬ বছর ক্ষমতা দখল করে রেখেছিল। ঠিক একই ভাবে দেশি-বিদেশি শক্তিরা নতুন করে ফাঁদ পাতছে। যাতে করে বিভিন্ন রাজনৈতিক শক্তি একে অপরের প্রতিপক্ষ হয়ে রাজপথে অবস্থান নেয়।
তিনি বলেন, দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণ হোক তারা সেটি চায় না। তাই মনে রাখতে হবে দীর্ঘ ১৬ বছরের লড়াই যেন ব্যর্থ না হয়।
শুক্রবার (১৮ জুলাই) বিকেলে যশোর জেলা বিএনপি আয়োজিত ‘দীর্ঘ ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলন ও জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের রূহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া মাহফিল’ পূর্ব সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নার্গিস বেগম।
অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেছেন, আজ রক্তস্নাত জুলাইয়ের বর্ষপূর্তি পালিত হয়েছে। যে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের আশা আকাক্সক্ষা এবং স্বপ্ন নিয়ে শেখ হাসিনাকে দেশ থেকে বিতাড়িত করেছিলাম। কিন্তু আফসোস জুলাই অভ্যুত্থানের এক বছর পরও দেশের মানুষ গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। আজও দেশের মানুষ তার ভোটের অধিকার ফিরে পায়নি। তাদের মানবাধিকার সমুন্নত হয়নি এবং আইনের শাসন থেকে বঞ্চিত।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাড. সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন, দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য প্রকৌশলী টি এস আইয়ূব, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম, মুনির আহমেদ সিদ্দিকী বাচ্চু, শহিদুল বারী রবু, সাবেক সহ-সভাপতি গোলাম রেজা দুলু, সাবেক সম্পাদক ম-লীর সদস্য আব্দুস সালাম আজাদ, অ্যাড. হাজী আনিছুর রহমান মুকুল, নগর বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম চৌধুরী মুল্লুক চাঁদ, সাধারণ সম্পাদক এহসানুল হক সেতু, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আঞ্জুরুল হক খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, আশরাফুজ্জামান মিঠু, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক এম তমাল আহমেদ, সদস্য সচিব আনসারুল হক রানা, জেলা মহিলা দলের সভাপতি রাশিদা রহমান, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ফেরদৌসী বেগম, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মোস্তফা আমির ফয়সাল, সদস্য সচিব রাজিদুর রহমান সাগর প্রমুখ। দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন জেলা ওলামা দলের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মোশারফ হোসেন।
পরে জেলা বিএনপি কার্যালয় থেকে কালো ব্যাজ ও পতাকা সম্বলিত মৌন মিছিল বের হয়। মিছিলটি বঙ্গবাজার, চৌরাস্তা মোড়, আরএন রোড হয়ে মনিহারে গিয়ে শেষ হয়।
নিহতদের স্মরণে দলীয় কার্যালয় থেকে অধ্যাপক নার্গিস বেগম এবং অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের নেতৃত্বে মৌন মিছিল বের হয়।