নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেছেন, ১৯৭১ সালে জাতি স্বাধীনতা অর্জন করেছিল, দিল্লির দাসত্ব থেকে মুক্তির আশায়, নিশ্চয় দিল্লির দাসত্ব করার অভিপ্রায় নয়। কিন্তু দীর্ঘ দিন যাবৎ বাংলাদেশের মানুষের চাওয়া অনুযায়ী বাংলাদেশ পারিচালিত হতে পারেনি। বিদেশি প্রভুদের নির্দেশে বাংলাদেশ পরিচালিত হয়েছে একটি পরাধীন রাষ্ট্রের মাধ্যমে। ৫ আগস্ট নতুন সূর্যোদয় এবং সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে। যে প্রেক্ষাপটে জনগণের চাওয়া অনুযায়ী বাংলাদেশ পরিচালিত হবে।
হাসিনা হঠাও আন্দোলনে নিহত যশোরের ইমতিয়াজ আহমেদ জাবির এবং তৌহিদুল ইসলামের স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। শুক্রবার জেলা ছাত্রদলের আয়োজনে মনিহার বিজয় স্মৃতিস্তম্ভে স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। স্মরণ সভা শেষে নিহত ইমতিয়াজ আহমেদ জাবির এবং তৌহিদুল ইসলামসহ ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
স্মরণ সভায় অনিন্দ্য ইসলাম অমিত আরও বলেন, শেখ হাসিনা দেশে মানুষকে যে দুঃশাসন দেখিয়ে গেছে। মানুষ সেটি দ্বিতীয় বার আর দেখতে চায় না। পরিবর্তিত পরিস্থিতির মাধ্যমে দেশে আইনের শাসন ফিরবে আসবে। যে আইনের শাসনের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধী চিহ্নিত এবং তাদের বিচার নিশ্চিত করা হবে। আওয়ামী লীগের দুঃশাসনে যেভাবে পিতা তার সন্তানকে এবং সন্তান তার পিতাকে হারিয়েছে এমন নৃশংস ঘটনা সেই গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে পুনরাবৃত্তি ঘটবে না। এমন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে পারলে, ছাত্র-জনতার অভুত্থানে শুধু না বিগত ১৭ বছরে শেখ হাসিনার দুঃশাসনে যারা জীবন দিয়েছে, প্রত্যেকের পরিবার সান্ত¡না খুঁজে পাবে।
তিনি বলেন, বিএনপি জনগণের ভোটে বারবার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসেছে। সমগ্র জনগণের দাবি একটি সুষ্ঠু নির্বাচনী ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনলে, দেশের জনগণ আবারও বিএনপির ওপর আস্থা রাখবে। তাই আজকে বিএনপি নেতাকর্মীদের দায়িত্ব হচ্ছে সমাজ থেকে অস্থিরতা এবং অনাচার দূর করে দেওয়া। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা আমাদের কাছে বিবেচ্য বিষয় না। এই মুহূর্তে জেলা প্রশাসন কিংবা পুলিশ প্রশাসন স্বাভাবিকভাবে কাজ করছে না। কারণ শেখ হাসিনা তাদের পেশাদারিত্ব নষ্ট করে, জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়েছিল। আজকে সেই ভয় এবং জড়তার কারণে তারা স্বাভাবিক কাজ করতে পারছে না। আমি আশাবাদী অন্তরবর্তী কালীন সরকার খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে এই অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে সক্ষম হবে।
জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রাজিদুর রহমান সাগর স্মরণ সভায় সভাপতিত্ব করেন। জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাপ্পির পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, নিহত ইমতিয়াজ আহমেদ জাবিরের পিতা নওশের আলী, নিহত তৌদুল ইসলাম তৌহিদের পিতা আব্দুল জব্বার, জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহনেওয়াজ ইমরান, নগর ছাত্রদলের সদস্য সচিব মাসুদ কায়সার ইস্তি, সদর উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব পিকুল আহমেদ প্রমুখ।