কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি: ঈদের কেনাকাটায় জুতা কিনতে গিয়ে পছন্দ না হওয়ায় দোকান মালিকের লোকজনের হাতে মারধরের শিকার হয়েছেন মা ও ছেলে। তাদের মধ্যে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে মা রাবেয়া খাতুন বাড়ি ফিরলেও ছেলে রাসেল হোসেন (২২) এখনও কালীগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এমন ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার সন্ধ্যায় ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ শহরের মধুগঞ্জ বাজার সুলতান সু-স্টোরে। এ ঘটনায় শনিবার দুপুরে মা রাবেয়া খাতুন কালীগঞ্জ থানায় অভিযোগ করেছেন।
উপজেলার রোকনপুর গ্রামের রেজাউল ইসলামের স্ত্রী রা বেয়া খাতুন অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, শুক্রবার বিকেলে তিনি দুই ছেলে ও মেয়ে-জামাইকে নিয়ে কালীগঞ্জ শহরে ঈদের বাজার করতে আসেন। সব কেনাকাটা শেষ করে জুতা কিনতে সুলতান সু স্টোরে যান। ওই দোকানে জুতা পছন্দ না হওয়ায় অন্য দোকানে যাওয়ার জন্য উঠলে দোকান মালিক সোলাইমান ও তার ছেলে আবির হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে গালমন্দ শুরু করে। তাদের এমন আচরণে প্রতিবাদ করায় আমার ছেলেকে এলোপাতাড়ি চড়-থাপ্পড় মারতে থাকে রুকু নামের এক বখাটের সাঙ্গ পাঙ্গরা। স্থানীয়দের সাহায্যে তারা একটি রিকসায় চলে যাওয়ার সময়ে আবারো ছন্দা সিনেমা হলের সামনে রিক্সা থামিয়ে তার ছেলেকে মারপিট করতে থাকে। এ সময় ছেলেকে রক্ষায় এগিয়ে গেলে মা রাবেয়াকেও মারধর করে তার হাতে থাকা ভ্যানিটি ব্যাগ ছিনতাই করে নেয় বখাটেরা। ওই ব্যাগে ৩০ হাজার ৬০০ টাকা ছিল। সেটিও নিয়ে গেছে সন্ত্রাসীরা। এরপর লোকজন এগিয়ে এসে আমাদেরকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
সুলতান সু স্টোরের মালিক সোলাইমান হোসেন জানান, জুতা কেনা নিয়ে বাকবিতন্ডা হয়। এর এক পর্যায়ে ওই মহিলার সাথে থাকা যুবকটি প্রথমে তাকে একটি ঘুষি মারেন। এরপর আমার ছেলে আবির এগিয়ে যায়। এর বেশি কিছু হয়নি। আর ইরফান রাজা রুকু তার ফুফাতো ভাই বলে তারা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিল।
কালীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) নজরুল ইসলাম জানান, রাবেয়া নামের এক নারী অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।