নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বেড়েছে। দাম বৃদ্ধির ফলে সব মানুষ চাপের মধ্যে পড়েছে। এর মধ্যে নি¤œ আয়ের সাধারণ মানুষ হাফিয়ে ওঠছে। তারা যা আয় করছে তাতে কুলাচ্ছে না। দৈনিক কল্যাণের খবরে বলা হয়েছে, ৩৩টি খাদ্যপণ্যের মধ্যে ২০টি দাম বেড়েছে।
প্রতিবারই এমনটাই দেখা যায়। রোজা আসলে যেন দাম না বাড়ালে ব্যবসায়ীরা শান্তি পায় না। এ বিষয়ে অনেকে বলতে পারেন চাহিদা বাড়লে দাম তো বাড়বেই। এটা কোনো যৌক্তিক কথা নয়। সংকটে দাম বাড়তে পারে। কিন্তু রোজা আসলেই সংকটটা সৃষ্টি হয় কি করে। এ ক্ষেত্রে বলা যায় সংকটটা কৃত্রিম। মানুষের গলা কেটে ফায়দা লোটার জন্য এই সংকট সৃষ্টি করে। অথচ রমজানে মানুষের সহনশীল হবার কথা ছিল। কিন্তু ওই যে কথা আছে ‘চোরা না শোনে ধর্মের কাহিনী’। এবার রোজার পর দ্রব্যমূল্য আর কমেনি, বরং বেড়ে গেছে এবং বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে কী করতে হবে সেটাও সবার জানা। প্রশ্ন হচ্ছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলো তাদের করণীয় যথাযথভাবে পালন করছে কিনা। কোনো ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের মজুদ করা কোনো পণ্য উদ্ধার করে বাজারজাতের ব্যবস্থা হয়েছে বলে জানা যায় না। অবৈধ মজুদের জন্য কোনো ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হয়নি। মাঝে মধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালতে কিছু ব্যবসায়ীকে আটক করে জেল-জরিমানা করা হয়েছে। কিন্তু ব্যবসায়ীরা এতে মোটেই ঘাবড়ায়নি। বাজারে মূল্য তালিকা টাঙানো বা কার্যকর করা যায়নি।
অভিযোগ রয়েছে, যাদের মজুদদারী বন্ধ করার দায়িত্ব তারা সেটা না করে ব্যবসায়ীদের অবৈধ সুযোগের ভাগিদার হচ্ছে বা চাঁদাবাজী বন্ধ করার দায়িত্ব যাদের তারা চাঁদার ভাগ নিচ্ছে বলে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। সর্ষের মধ্যে যদি ভুত থাকে তাহলে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ হবে কীভাবে। সরকারকে আগে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোর কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা আদায় করতে হবে। সরকারের সব প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতি দূর করে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। নইলে কাঁচাবাজার থেকে শুরু করে পুজিবাজার কোনোটাই সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকবে না। ব্যাংক খাত তো আগেই নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে।