নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোর শহরের ধর্মতলার একটি জমি দখলের ষড়যন্ত্র শুরু করেছেন জাকারিয়া ও নোমান। এরই মধ্যে তারা স্থানীয় রাজনৈতিক ও ব্যবসায়ীক ব্যক্তিদের নামে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সাংবাদ সম্মেলন করে ভুয়া রিপোর্ট প্রকাশ করিয়েছেন তারা। প্রকৃতপক্ষে জাকারিয়া ও নোমান ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে এ জমি দখলের চেষ্টা করছেন। শনিবার প্রেসক্লাব যশোরের শহিদ সাংবাদিক আরএম সাইফুল ইসলাম মুকুল অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন শহরের বারান্দীপাড়ার শেখ শামছুর রহমান। এরআগে ২২ মে সংবাদ সম্মেলন করে জাকারিয়া ও নোমানদের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ করা হয়েছিল।
সংবাদ সম্মেলনে শেখ শামছুর রহমান বলেন, যশোর শহরতলী খোলাডাঙ্গা মৌজার এসএ খতিয়ান ৪৭৬, আরএস খতিয়ান ৬১৩, এসএ দাগ ২৫৯, আর এস দাগ ৭৬২ নম্বরে নালিশে ৩৫ শতক জমি রয়েছে। এই জমির রেকডীয় মালিক আব্দুল জব্বার গাজী। তিনি ১৯৬৩ সালে তার ছেলে আব্দুল আজিজের নামে দানপত্র দলিল করে দেন। আব্দুল আজিজ গাজীর ২৫৯ দাগের আরএস রেকর্ডের সময় ভুলবশত অর্পিত সম্পত্তি হিসেবে রেকর্ড হয়। তিনি বিষয়টি জানতে পেরে রেকর্ড সংশোধনের জন্য এলএসটি কোর্টে মামলা করেন। মামলা চলাকালীন সময় আব্দুল আজিজ তার স্ত্রী ও দুই কন্যা সন্তান রেখে যান। পরবর্তীতে আব্দুল আজিজ গাজীর ওয়ারেশ এ মামলা পরিচালনার জন তার শেখ শামসুর রহমান ও বখতিয়ার রহমানকে পাওয়ার অব এটর্নি করে দেন। তারা পাওয়ার অব এটর্নি পেয়ে মামলা পরিচালনা করতে থাকেন।
তিনি বলেন, ২০২২ সালের ১৪ আগস্ট ৭ নম্বর আদেশে মামলার রায় প্রদান করা হয়। এ রায় আমাদের পক্ষে আসায় রায়ের কপি দিয়ে নামপত্তন ও খাজনা দেয়া হয়। এ সময় এ জমির সংশোধিত খতিয়ান নম্বর ৩৪০৪।
এরমধ্যে এবি জাকারিয়া ও শিবলি নোমান নামে দুই ব্যক্তি আমাদের নামে হাইকোর্টে রিট দাখিল করেন। হাইকোর্ট চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি আমাদের পক্ষে রায় প্রদান করেন। একই সাথে জাকারিয়া ও নোমানের করা রিট খারিজ করে দেয়। ফলে জমির মালিক আব্দুল আজিজ গাজীর ওয়ারেশগণ থেকে যায়।
তিনি আরও বলেন, জাকারিয়া ও নোমান তাদের অসৎ উদ্দেশ্য সফলের লক্ষ্যে নানা তৎপরতা শুরু করেন। এরই ধারাবাকিতায় তারা যশোর সদর উপজেলা নির্বাচনকে সামনে রেখে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের উদ্দেশ্যে সংবাদ সম্মেলনে রাজনৈতিক ও ব্যবসায়ীদের নাম উল্লেখ করেছেন। এদের মধ্যে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চেয়ারম্যান শাহারুল ইসলাম, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক আবু মুছা মধু, ইউপি সদস্য ও ধর্মতলা বাজার কমিটির সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ডালিম, ব্যবসায়ী আব্দার হোসেন কোনভাবে ঘটনার সাথে জড়িত নয়। গত ২২ মে জাকারিয়া ও নোমান ভুয়া কাগজপত্র উপস্থান করে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা, বনোয়াট ও ভিত্তিহীন সংবাদ সম্মেলন করেছেন। এতে প্রায় ৬ কোটি টাকার সম্মানহানি হয়েছে আমাদের। জাকারিয়া ও নোমানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ব্যবসায়ী আবদার হোসেন, বখতিয়ার রহমান, ইউপি সদস্য ও ধর্মতলা বাজার কমিটির সভাপতি জাহিদুল ইসলমা ডালিম, সাজ্জাদ হোসেন রিপন, আজিজুল ইসলাম রোমেল, আলমগীর মেম্বর, বকুল হোসেন, গাজী রিপন, আলমগীর হোসেন প্রমুখ।