নিজস্ব প্রতিবেদক
দুইযুগ পরে যশোরের অভয়নগরের বেঙ্গল টেক্সটাইল মিলের সিবিএ নেতা কাওছার আলী হত্যা মামলার দুই আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আরো দুই আসামিকে খালাস দেয়া হয়েছে।
রোববার বিশেষ দায়রা জজ ও বিশেষ জজ (জেলা ও দায়রা জজ) আদালতের বিচারক মোহাম্মদ সামছুল হক এই রায় দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশেষ পিপি সাজ্জাদ মোস্তফা রাজা।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলো, অভয়নগর উপজেলার মহাকাল গ্রামের মাকসু ওরফে মাকসুদ ও খুলনা ফুলতলার যুগ্নিপাশা গ্রামের কানা বাবু ওরফে বাবু।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, অভয়নগরের ধোপাদী গ্রামের মৃত নুর মোহাম্মদের ছেলে কাওছার আলী বেঙ্গল টেক্সটাইল মিলের সিবিএ’র সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ১৯৯৯ সালে মিলের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কাওছার আলী গ্রুপের সাথে প্রতিপক্ষ গ্রুপের বিরোধ চলছিল। ২৫ সেপ্টেম্বর বিকেলে কাওছার আলী নওয়াপাড়া বাজারের শাহী ট্রেডার্সে বসে লোকজনের সাথে কথা বলছিলেন। কিছু সময় পর ৭/৮ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী এসে শাহী ট্রেডার্স ঘিরে ফেলে। এরমধ্যে কানা বাবু ও অপর একজন রুমে ঢুকে কাওছার আলীকে লক্ষ্য করে গুলি করে। গুরুতর আহত কাওছার আলীকে নওয়াপাড়া সার্জিক্যাল ক্লিনিকে নিয়ে গেল কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় পরদিন নিহতের ভাই সোহরাব দফতরি বাদী হয়ে ৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভয়নগর থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়ায় চার জনকে অভিযুক্ত ও অপর চার জনের অব্যাহতি চেয়ে ২০০১ সালের ১৩ নভেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা এসআই এস এম রোকন উদ্দিন।
সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসমি কানা বাবু ও মাকসুদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাদের দুইজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাস করে কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্ত দুই জন পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ার আদেশ দেয়া হয়েছে।