নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরের অভয়নগরের নওয়াপাড়ার আলোচিক বিএনপি নেতা (পদ স্থগিত) আসাদুজ্জামান জনিকে আরও একটি মামলায় স্যোনএরেস্ট দেখানো হয়েছে। সোমবার এলাকার আরেক ব্যবসায়ীর কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদাদাবিতে মারপিটের ঘটনায় ২৭ সেপ্টেম্বর অভয়নগর থানায় জনিসহ ৬জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা আরও একটি মামলায় এই স্যোনএরেস্ট দেখানো হয়েছে।
আসামি আসাদুজ্জামান জনি নওয়াপাড়ার গুয়াখোলা এলাকার কামরুজ্জামান মজুমদারের ছেলে।
এই মামলার অন্য ৫ আসামি হলো, অভয়নগর উপজেলার পায়রা গ্রামের মঈন উদ্দিন খানের ছেলে আলমগীর হোসেন, নওয়াপাড়ার গওয়াখোলা সুপারী পট্টির খোকা মাস্টারের ছেলে সম্রাট, গুয়াখোলা মহিলা কলেজ রোডের মৃত জালাল উদ্দিন ওরফে মনিরুজ্জামানের ছেলে কামরুজ্জামান মিঠু, নওয়াপাড়ার মাছ ব্যবসায়ী মৃত মহিউদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে সান্টু ও নওয়াপাড়া পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইমান আলীর ছেলে ইমদাদুল ইসলাম।
বাদী নওয়াপাড়ার ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর হোসেন মামলায় উল্লেখ করেন, নওয়াপাড়া বাজারে তার কাপড়ের ব্যবসা রয়েছে। তিনি কাপড় ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সভাপতি। তার মেঝে ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন সোহাগের সাথে আসামি আলমগীর হোসেনের পার্টনারশীপে ব্যবসা ছিল। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সোহাগ ভিয়েতনামে চলে যান। চলতি বছরের ৬ জুলাই সন্ধ্যায় আসামি ইমদাদ বাদীর কাপড়ের দোকানে এসে বলছেন তার ছেলে সোহাগের কাছে অপর আসামি আলমগীর ৪২/৪৩ লাখ টাকা পাবে। এই ব্যাপারে অভয়নগর থানায় অভিযোগ দেয়া হয়েছে। ১১ জুলাই বিকেলে এই ব্যাপারে থানায় আলোচনা সভা হয়। সেখানে বাদী জাহাঙ্গীর বলছেন আমার ছেলে সোহাগ অনেক আগে থেকেই বিদেশ রয়েছে। এরআগে ৬ জুলাই সন্ধ্যায় আসামি ইমদাদ বাদীকে জনির অফিসে ডেকে নেয়। সেখানে নেয়ার পরে ফিরোজ চেয়ারম্যান নামে আরেক ব্যক্তি আসে। তিনি এসে সোহাগের কাছে ৪৯ লাখ টাকা পাবে বলে জানান। ঘরের মধ্যে রেখে ওই টাকা পরিশোধের জন্য মারপিট এবং ইলেক্ট্রিক সক দেয়া হয়। টাকা না দিয়ে তার হিদিয়া বাজারে একটি জমি আলমগীরকে লিখে দিতে বলে। না হলে পরিবারে বড় ধরণের ক্ষতি করে ফেলবে বলে হুমকি দেয়। তাছাড়া বাদীর কাছ থেকে চেক ও স্ট্যাম্পে সাক্ষর নেয়ার চেষ্টা করে। বাধ্য হয়ে জমিটি লিখে দেয়ার সম্মতি হন। পরদিন বাদীর দোকানে দিয়ে আসামি সম্রাট জমির কাগজপত্র নিয়ে আসে। ৭ জুলাই বিকেলে বাদীর দোকারে হীরা নামে একজন এসে বলছে জনি ভাই পাঠিয়েছে। আবার ৯ জুলাই আসামি সম্রাট এসে বলছে আলমগীর হিদিয়ার জমি দিবেনা। জনি ভাইকে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দিলে আর কিছু দেয়া লাগবেনা। কিন্তু চাঁদার টাকা দিতে রাজি হননি বাদী জাহাঙ্গীর হোসেন। ৯ জুলাই রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাদী জনির পিতা কামুজ্জামান মুজমদারের কাছে যান। সেখানে গিয়ে জনির বিষয়ে সব কিছু খুলে বলেন। এসময় জনির পিতা বলছেন আপনাকে বাঁচতে হলে যেকোন ব্যবস্থা নিতে পারেন। এতদিনে পরিবারের সাথে আলোচনা করে গত ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে এই ঘটনায় অভয়নগর থানায় মামলা করেছেন জাহাঙ্গীর হোসেন। আসামি জনি কারাগারে আটক থাকায় গতকাল সোমবার স্যোনএরেস্ট দেখিয়েছে পুলিশ।
	সর্বশেষ
	
				- বিপুল, হাজী সুমন, শাহারুল,বিপু,হিটার নয়নসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
- যশোরের আওয়ামী লীগ নেতা শাহারুল ঢাকায় আটক
- বিএনপির আমলে বেকারদের বিনা পয়সায় চাকরি দিয়েছি
- লালনের গানে গানে শিল্পী ফরিদা পারভীনকে স্মরণ
- যশোরে মাদকবিরোধী অভিযানে ৪ জনের কারাদণ্ড
- ইমামুল হত্যার বিচার দাবিতে যশোরে মানববন্ধন
- যশোরে পারিবারিক কলহে দুই নারীর আত্মহত্যা
- যশোরে স্বর্ণের বারসহ যুবক আটক

 
									 
					