অভিযোগ অস্বীকার উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার
সুনীল ঘোষ: কাল বুধবার যশোর সদরের ১৫টি ইউপি’র নির্বাচন। এর মধ্যে একমাত্র নওয়াপাড়া ইউনিয়নে ইভিএম-এ পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নতুন এই পদ্ধতিতে ভোটাধিকার প্রয়োগ নিয়ে মানুষের মধ্যে রয়েছে প্রচন্ড আগ্রহ ও ভয় দুটোই। সেই সাথে ভোট কারচুপি নিয়েও রয়েছে সংশয়। এসব ভ্রান্ত ধারণা দূর করার লক্ষ্যে সোমবার ইউনিয়নের কেন্দ্রে কেন্দ্রে মক (নমুনা ভোট) ভোটিংয়ের আয়োজন করে উপজেলা নির্বাচন অফিস। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে ইভিএম প্রদর্শন ও মক ভোট গ্রহণ কার্যক্রম। যদিও এতে সাড়া মেলেনি সাধারণ ভোটারের। আগাম প্রচার-প্রচারণা না থাকায় ভোটারের উপস্থিতি ছিল একেবারেই কম।
ইভিএম মেশিন প্রদর্শন ও মকিং ভোট কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ইউনিয়নের অনেক ভোটার। ইমরান হোসেন নামের এক ভোটার জানান, তিনি মকিং ভোট দিয়েছেন। তবে আগাম প্রচার-প্রচারণা না থাকায় তার বাহাদুরপুর স্কুল কেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতি ছিল একদমই কম। তিনি সর্বোচ্চ ৮-১০ জন ভোটারের উপস্থিতি দেখেছেন। তরফ নওয়াপাড়ার আশিক রহমান নামে এক ব্যক্তি বলেন, তিনি নোয়াপাড়া আইডিইবি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভোটার। তবে তিনি মকিং ভোটের বিষয়ে কিছুই জানেন না। সেখানে মকিং ভোট কার্যক্রম আদৌও অনুষ্ঠিত হয়েছে কি-না, তা জানেন না আশপাশের বাসিন্দারাও।
ঘুরুলিয়ার ঋষিপাড়ার বাসিন্দা জোৎস্না নামের এক গৃহবধূ জানান, তিনি কোথায় ভোট দেবেন তা এখনো নিশ্চিত হতে পারেননি। তিনি বলেন, কখনো শুনছি ঘুরুলিয়া স্কুলে, কখনো শুনছি পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে গিয়ে ভোট দিতে হবে।
বিনয় নামে আরেক ভোটার বলেন, ঘুরুলিয়া কেন্দ্রে মকিং ভোট কার্যক্রম তিনি দেখেননি। মেশিনে কিভাবে ভোট দিতে হয়, সে সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, ইউনিয়নটির কেন্দ্রে কেন্দ্রে ইভিএম প্রদর্শন ও মক ভোটিং কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবারই প্রথম সদর উপজেলার নওয়াপাড়া ইউনিয়নে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এখানে ভোট সংখ্যা ৪৪ হাজার ১২১টি। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২২ হাজার ১৭ এবং নারী ভোটার ২২ হাজার ১০৪ জন। ইউনিয়নে মোট ১৯টি কেন্দ্রে ১৪০টি বুথে ভোট গ্রহণ করা হবে।
এদিকে ইভিএম প্রদর্শন ও মক ভোটিং কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন ওঠার বিষয়ে জানতে কল্যাণ অফিস থেকে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বাদল চন্দ্র অধিকারীর সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হয়। তিনি অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেন, প্রচার-প্রচারণায় কোনো কমতি ছিল না।
তিনি বলেন, রোববার দিনভর গোটা ইউনিয়নের প্রত্যেকটি পাড়া-মহল্লায় নির্বাচন অফিসের উদ্যোগে মকিং ভোট অনুষ্ঠানের বিষয়ে মাইকিং করা হয়েছে। তাছাড়া একই দিন চেয়ারম্যান ও মেম্বার প্রার্থীদের সাথে তিনি বৈঠক করে এ বিষয়ে প্রচারণা চালানোর নির্দেশনা দেন। প্রসঙ্গক্রমে তিনি আরও বলেন, তিনি নিজে ৫টি কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। সেখানে সাধারণ ভোটারের উপস্থিতি ছিল সন্তোষজনক।