নিজস্ব প্রতিবেদক
নড়াইলের শিশু আরাফাত আলী হত্যা মামলায় দুই ঘাতককে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) যশোরের এসআই স্নেহাশীস দাশ মামলার তদন্ত শেষে আদালতে এই চার্জশিট জমা দিয়েছেন।
অভিযুক্তরা হলো, নড়াইলের সদর উপজেলার বোড়ামারা গ্রামের বোড়ামারা গ্রামের তৌহিদ মোল্লার ছেলে নাবিল হাসান (১৫) ও সাহিদুর রহমানের ছেলে মিলন হোসেন (২২)।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০২২ সালের ১২ মার্চ সকাল ৯টার দিকে বোড়ামারা গ্রামের ওবাইদুর রহমান শিকদারের ছেলে আরাফাত আলী (১১) বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর সে বাড়িতে ফিরে না আসায় তার পিতা ওবাইদুর রহমান শিকদার নড়াইল সদর থানায় একটি জিডি করেন। পরদিন ১৩ মার্চ ওবাইদুর রহমান শিকদারের মোবাইল ফোন নম্বরে একটি ম্যাসেজ আসে। ম্যাসেজে লেখা ছিলো ‘তুই খুব বড় একটা জিনিস হারাতে চলেছিস’। বিষয়টি তিনি নড়াইল থানার পুলিশ ও পিবিআই যশোরকে অবহিত করেন। পরবর্তীতে আরাফাত আলীকে অপহরণ করা হয়েছে এবং ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি সংক্রান্ত কয়েকটি ম্যাসেজ আসে ওবাইদুর রহমান শিকদারের মোবাইল ফোন নম্বরে। পাঠানো ম্যাসেজের মোবাইল ফোন নম্বরের সূত্র ধরে তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে উল্লিখিত দুইজন অর্থাৎ মিলন হোসেন ও নাবিল হাসানকে আটক করে পুলিশ। আটকের পর তারা আরাফাত আলীকে মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে হত্যার কথা স্বীকার করে। তারা পুলিশকে জানায়, কাঁঠাল চুরির কথা বলে আরাফাত আলীকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিলো। এরপর তারা একই গ্রামের জনৈক মাহাবুর রহমানের বাঁশ বাগানে নিয়ে আরাফাত আলীকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। হত্যার পর তার লাশ বাঁশের পাতা দিয়ে তারা ঢেকে রাখে। পরে তারা মুক্তিপণের ৫ লাখ টাকা চেয়ে আরাফাত আলীর পিতার কাছে ম্যাসেজ পাঠিয়েছিলো। পরবর্তীতে তাদের দেওয়া স্বীকারোক্তিতে ১৫ মার্চ সকালে মাহাবুর রহমানের বাঁশ বাগান থেকে নিহত শিশু আরাফাত আলীর লাশ উদ্ধার করে পিবিআই।