সাজ্জাদ তুহিন, নড়াইল
নড়াইল সদর উপজেলায় পৈত্রিক সম্পত্তি জাল দলিল করে ভোগদখল রাখার অভিযোগ উঠেছে আপন ভাই সুজিত মৈত্রের বিরুদ্ধে। আজিত মৈত্র অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার আপন ভাই সুজিত মৈত্র (৫২)। সে আমার পৈত্রিক ভাগের জমি দীর্ঘদিন ভোগ দখল করে রেখেছে। আমি (আজিজ) ব্যবসা বাণিজ্যের কাজে বিভিন্ন সময় বাইরে থাকায় আমার আপন ভাই (সুজিত) বাবার রেখে যাওয়া বাসতবাড়ি, চাষাবাদ যোগ্য জমি জাল দলিল করে দীর্ঘদিন ভোগদখল করে আসছে।
প্রতিবেশিদের মাধ্যমে জাল দলিলের বিষয় জানতে পেরে আমার অংশের জমি দাবি করলে ভাই সুজিত মৈত্র, তার ছেলে সমির মৈত্র (২২) ও তার লোকজন দিয়ে আমাকে (আজিজ) ও আমার পরিবারকে হত্যার হুমকি দেয়। এ ঘটনায় আমার পরিবারকে বাঁচাতে কলকাতায় রেখে এসেছি। এখন আমি স্ত্রী-সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবন কাটাছি’।
বুধবার দুপুরে উপজেলার শেখহাটি ইউনিয়নের গুয়াখোলা গ্রামে সাংবাদিকদের স্বাক্ষাৎকালে তিনি এসব কথা বলেন। আজিজ ও সুজিত ওই গ্রামের মৃত কার্তিক মৈত্রের ছেলে।
তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, ‘ভাই সুজিত আমার বসতবাড়ি ভেঙে সেখানে আলিশান বাড়ি নির্মাণ করেছে। শুধু তাই নয়, এসব বিষয়ে জানতে গত ৯ জানুয়ারি সন্ধ্যায় বাড়িতে প্রবেশ করতে গেলে আমাকে ও আমার ছেলেকে সুজিত মৈত্র ও তার ছেলের লোকজন নিয়ে চড়াও হয়ে আমাদের রামদা দিয়ে কোপাতে আসে। পরে স্থানীয় বাসিন্দা ও শেখহাটি ফাঁড়ির সহযোগিতায় সেখান থেকে চলে এসে অন্যর বাড়িতে রাত্রিযাপন করি।
অজিত মৈত্র সাংবাদিকদের আরও জানান, আমি আমার নিজ জমির দলিল ও হাল নাগাদ রেকর্ডিয় সম্পত্তির মালিকানা বুঝে নিতে সমাজের সর্বস্তরের জনগণ ও বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের কাছে সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি। আমার পরিবারের সকলের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভূমিদস্যু সুজিত মৈত্র ও তার ছেলের গুন্ডা বাহিনীর হাত থেকে বাঁচতে সকলের সহযোগিতা কামনা করছি। তবে সুজিত মৈত্র অজিত মৈত্রের দেওয়া সকল অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে বলেন, ‘আমার ভাই অজিত মৈত্রের সকল সম্পত্তি বিক্রি করে পরিবার নিয়ে বেশ আগেই কলকাতা চলে গেছে। এখানে তার কোন জমিজমা নাই।
সুজিত মৈত্র আরও বলেন, এ সকল জমি জমার বিষয় অজিত মৈত্র আমাকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নাম্বার দিয়ে হুমকি ধামকি দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় ৯ জানুয়ারি অজিত মৈত্র ও তার ছেলে আমার বাড়িতে এসে বিভিন্নভাবে গালিগালাচ করে। তাদের উচ্চস্বরে আওয়াজ শুনে আশপাশের লোকজন জড়ো হয়ে স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়িতে বিষয়টা অবগত করলে পুলিশ এসে উভয়পক্ষকে শান্তি বজায় রাখার নির্দেশ দেন। দুই পক্ষকে আগামী ১১ জানুয়ারি সমাধানের জন্য ফাঁড়িতে হাজির থাকার জন্য বলেন।