কল্যাণ ডেস্ক: মেয়েদের বয়সভিত্তিক ফুটবলে বাংলাদেশ দলের বেশ নামডাক। এই তো কয়েক মাস আগে সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল মারিয়া-তহুরারা। এবার লাল-সবুজ দলের সামনে ভারত অভিযান। সেখানে সাফ অনূর্ধ্ব-১৮ টুর্নামেন্টেও অংশ নিতে যাচ্ছে গোলাম রব্বানী ছোটনের দল। এবার ভারতে ট্রফি জয়ের মিশন শামসুন্নাহার-রুপনা চাকমাদের।
তিন দল নিয়ে হবে ছোটদের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। স্বাগতিক ভারত ছাড়াও খেলবে বাংলাদেশ, নেপাল।বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ১৭ মার্চ, প্রতিপক্ষ নেপাল। দ্বিতীয় ম্যাচ ভারতের বিপক্ষে ১৯ মার্চ, ২৩ মার্চ ফিরতি ম্যাচে আবারও মুখোমুখি হবে নেপালের। শেষ ম্যাচ ভারতের বিপক্ষে ২৫ মার্চ। টুর্নামেন্টে শীর্ষ পয়েন্টধারী দলের হাতে উঠবে ট্রফি। একাধিক দলের পয়েন্ট সমান হলে তখন হেড টু হেড ফল বিবেচ্য হবে।
আগামী ১২ মার্চ জামশেদপুরের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বে বাংলাদেশ দল। তার আগে বৃহস্পতিবার বাফুফে ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নারী দলের প্রধান কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন নিজেদের প্রস্তুতির কথা তুলে ধরে বলেছেন, ‘আমরা এই টুর্নামেন্টের জন্য জানুয়ারি শুরু থেকে অনুশীলন করছি। সব দিক দিয়েই খেলার জন্য আমরা প্রস্তুত।’
সবশেষ ঢাকায় অনূর্ধ্ব-১৯ টুর্নামেন্টে খেলা ১০ জন খেলোয়াড় এবার দলে নেই। ফলে পাঁচজন নতুন খেলোয়াড় সুযোগ পেয়েছেন। তাদের অভিজ্ঞতা বলতে জাতীয় দল ও বিকেএসপির বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ।
অপেক্ষাকৃত নতুন হলেও ছোটন দল নিয়ে বেশ আশাবাদী, ‘তিনটি দলই সমান শক্তির। আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং হবে। সবাই নিজের সেরাটা দিয়ে ভালো ফলাফল করতে চাইবে। প্রত্যেকটা ম্যাচ ফাইনালের মতো হবে। হারার কোনও সুযোগ নেই। স্বাগতিক ভারত শক্তিশালী দল। আমাদের মেয়েরাও নিয়মিত আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলছে, সফলতা পাচ্ছে।’
কোচের সঙ্গে সুর মিলিয়ে অধিনায়ক শামসুন্নাহার আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলেছেন, ‘তিনটি দল শক্তিশালী। মাঠে যারা পারফর্ম করবে, তারাই সেরা হবে৷ দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই। আমরা একদম নতুন দল নই, অনূর্ধ্ব-১৫ দলের অধিনায়ক ছিলাম আমি। সেই দলের অনেকেই আছে। আমরা সেখানে ট্রফি আনতেই যাবো৷’