আন্তর্জাতিক ডেস্ক
তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তে ফের আঘাত হানা ভূমিকম্পে অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন দুই শতাধিক মানুষ। রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে কিছু বাড়িঘরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সোমবার স্থানীয় সময় রাত ৮টার দিকে তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলের হাতায় প্রদেশে ভূমিকম্পটি অনুভূত হয়। এর উৎপত্তিস্থল ছিল সমতল থেকে দুই কিলোমিটার গভীরে। বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, উৎপত্তিস্থল থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরের শহর আনতাকিয়া ও আদানা থেকেও এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়। হাতায়ের পাশেই সিরিয়া। ভূমিকম্প কাঁপিয়েছে সেখানকার অঞ্চলকেও।
৬ দশমিক ৩ মাত্রার ওই ভূমিকম্পের কয়েক মিনিট পরই হাতায় প্রদেশের সামানদাগ শহরে ৫.৮ মাত্রার আরও একটি পরাঘাত অনুভূত হয়। আরও পরাঘাত ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবারের এই ভূমিকম্পে বেশ কিছু ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আতঙ্কিত লোকজন ঘর ছেড়ে বেরিয়ে রাস্তায় এবং বিভিন্ন উদ্যানে রাত কাটিয়েছে।
তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেইমান সয়লু জানান, ভূমিকম্পে সেখানে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ২০০ জনেরও বেশি মানুষ।
বিপদ এড়াতে আপাতত ঝুঁকিপূর্ণ ও অতি পুরনো কোনো ভবনে বাসিন্দাদের যেতে নিষেধ করেছে কর্তৃপক্ষ।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি তুরস্কের গাজিয়ানতেপে আঘাত হানা ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের শিকার হয় তুরস্ক। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় পাশের দেশ সিরিয়াও। দুই দেশ সেই ভয়াবহতার রেশ কাটিয়ে না উঠতেই এই ভূমিকম্পের মুখে পড়ল।
স্মরণকালের ভয়াবহ ওই ভূমিকম্পে দেশ দুটিতে প্রায় ৪৭ হাজার মানুষ মারা যান। ১০ লাখেরও বেশি মানুষ ঘরবাড়ি হারিয়েছেন। কয়েক লাখ মানুষ ঘরবাড়ি হারিয়ে সরকারি ত্রাণ তহবিলের অন্তর্গত খোলা মাঠে তাঁবুর নিচে আছেন গত দুই সপ্তাহ ধরে।
ভূমিকম্পের কারণে তুরস্কে প্রায় ২ লাখ ৬৪ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে এরই মধ্যে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত কয়েকটি প্রদেশের মানুষকে পুনর্বাসনের জন্য বাড়ি নির্মাণ শুরু করেছে প্রশাসন।
আরও পড়ুন: আকস্মিক সফরে ইউক্রেনে জো বাইডেন
