গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে চেকপোস্ট
বেপরোয়া গতির ওপর নজর
সাদা পোশাকে থাকবে পুলিশ
ভিড় এলাকায় বাড়তি নিরাপত্তা
নিজস্ব প্রতিবেদক
শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে যশোর জেলা পুলিশ। জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মোবাইল টিম ও টহল ডিউটির মাধ্যমে এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) নুর ই আলম সিদ্দিকী সাংবাদিকদের এই বিষয়টি জানিয়েছেন।
অপরদিকে একইভাবে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশান ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, যশোরের বিভিন্ন এলাকা গুলোতেও পুলিশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। একাধিক টিম বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ তার আশপাশে থাকবে। এছাড়া শহর ও শহরতলীর প্রত্যেকটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে থাকবে চেকপোস্ট। বেপরোয়া গতিতে কেউ যাতে চলাফেরা করতে না পারে সে জন্য থাকবে একাধিক মোবাইল টিম। বিশেষ করে মোটরসাইকেল গুলোর ওপর নজর রাখা হবে।
আরো জানা গেছে, এই সময়ে বিভিন্ন বিপনী বিতান, গুরুত্বপূর্ণ ভবন এলাকায় থাকবে পুলিশের টহল। টহল ডিউটিতে থাকবে নিরাপত্তা বাহিনী। জেলায় থাকবে মোবাইল টিম ও টহল ডিউটি।
যশোরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে সাদা পোশাকে পুলিশের বিশেষ দল মোতায়েন থাকবে, যাতে অপরাধীদের দ্রুত চিহ্নিত করা যায় এবং প্রয়োজনে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া যায়।
জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) নুর ই আলম সিদ্দিকী বলেছেন, শহরের যানজট কমানোর জন্য ট্রাফিক পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সার্বক্ষণিক মাঠে রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রধান লক্ষ্য হলো যশোরবাসীর জন্য একটি নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করা, যাতে তারা নিশ্চিন্তে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করতে পারে।
অপরদিকে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপনকে সামনে রেখে সারা দেশের ন্যায় যশোরেও ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
নববর্ষকে ঘিরে র্যাব অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করেছে। শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশ নষ্ট করতে যাতে কোনো ধরনের অপ্রত্যাশিত ঘটনা না ঘটে, সেজন্য জেলার সকল উপজেলা পর্যায়েও র্যাব সদস্যরা সর্বোচ্চ প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে তথ্যভিত্তিক নজরদারি ও তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
ভিড়পূর্ণ এলাকায় নারী, শিশু এবং বয়োজ্যেষ্ঠদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশেষ ইউনিট কাজ করছে। ইভটিজিং রোধে সাদা পোশাকের টহল দল মোতায়েন রয়েছে এবং উৎসব এলাকায় পর্যাপ্ত সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করে নজরদারির পরিধি বাড়ানো হয়েছে।
এছাড়া র্যাবের সাইবার মনিটরিং ইউনিটের কার্যক্রম আরও জোরদার করা হয়েছে, যাতে নববর্ষের উৎসবকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব বা অপপ্রচার ছড়ানো না যায়। ইতিমধ্যে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে মনিটরিং বাড়ানো হয়েছে। কেউ কোন গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করলে দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানিয়ে তা দমন করা হবে। জেলার মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে নববর্ষ উদযাপন করতে পারে, সেটিই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।
বাংলা নববর্ষ বাঙালি সংস্কৃতির এক অসাম্প্রদায়িক, বর্ণিল এবং ঐতিহ্যবাহী উৎসব। এই উৎসব ঘিরে মানুষ হাসিখুশি থাকুক, নিরাপদে থাকুক। র্যাব সবসময় সাধারণ মানুষের পাশে আছে এবং থাকবে।