কল্যাণ রিপোর্ট
গত ১৬ ডিসেম্বর দুপুরে যশোর শহরের পুরাতন কসবা কাজীপাড়ার মৃত শামসের আলীর বাড়ি থেকে রহিমা খাতুন (৪২) নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রহিমা ওই বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।
তবে তার স্বামী বেনাপোলের পুটখালী গ্রামের জাকির হোসেন (৫৪) পালাতক রয়েছেন। এই ঘটনায় নিহতের ছেলে হাসানুজ্জামান টুটুল বাদী হয়ে কোতয়ালি থানায় মামলা করেছেন।
এজাহারে টুটুল উল্লেখ করেছেন, তার পিতা মণিরামপুরের খাটুরা পশ্চিমপাড়ার ইনছান আলীর সাথে ৮/১০ বছর আগে তালাক হয় তার মা রহিমার। পরে আসামি জাকিরকে বিয়ে করে যশোর শহরের পুরাতন কসবা কাজীপাড়ায় ভাড়াবাড়িতে বসবাস করতেন। জাকির হোসেন ফেরি করে তরিতরকারি বিক্রি করতেন।
১৬ ডিসেম্বর দুপুর দুইটার দিকে স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশি সহযোগিতায় খাটের ওপর লেপ দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় তার মায়ের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেন। তার ধারনা সৎ পিতা জাকির হোসেন তার মাকে হত্যা করে ঘরে তালা লাগিয়ে পালিয়ে গেছেন।
কাজীপাড়ার ওই বাড়ির আরেক ভাড়াটিয়া লুৎফুন্নাহার জানিয়েছেন, ওই নারী একজন নামাজী ছিলেন। টিনসেডের ঘরে তারা বসবাস করতেন। তার স্বামী জাকির হোসেন ফেরি করে তরিতরকারি বিক্রি করতেন। আর রহিমা এলাকায় বিভিন্ন নারীদের কোরআন শিক্ষা দিতেন। দুইদিন দিন তার কোন খোঁজ না পেয়ে এলাকার লোকজন বাড়িতে যায়। দেখেন ঘরের বাইরে দরজায় তালা ঝুলানো। এবং ঘর থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছে। পরে পুলিশের সহযোগিতায় তালা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে তার মরদেহ খাটের উপর পড়ে থাকতে দেখে।
প্রতিবেশিরা জানান, রোববার রাতেও জাকির হোসেন বাড়িতে ছিলেন। পর দিন থেকে তার দেখা পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে কোতয়ালি থানার ওসি তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, মরদেহ উদ্ধার করে লাশ মর্গে পাঠিয়ে পোস্টমর্টেম করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলাও হয়েছে।