মাগুরা প্রতিনিধি
মাগুরার শালিখা থানার শতখালী গ্রামের আলোচিত নওশের আলী মোল্যাকে অবশেষে পুলিশ গ্রেফতার করে কারাগারে প্রেরণ করেছে। শুক্রবার তাকে গ্রেফতার করে শনিবার পর্নগ্রাথি আইনে কারাগারে প্রেরণ করেছে। তিনি উপজেলার শতখালী গ্রামের মুনতাজ মোল্যার ছেলে।
পুলিশ জানিয়েছে, বিদেশ থাকা মাগুরার এক ব্যক্তির স্ত্রীর ব্যক্তিগত ছবি মোবাইলে ধারণ করে ব্ল্যাকমেইল করে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করছিলেন নওশের। তার নামে ওই নারী মাগুরা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। আদালতের নির্দেশে মামলার পর তাকে গ্রেফতার করা হয়।
শালিখা থানার ওসি নাসির উদ্দিন মুঠোফোনে জানান, শুক্রবার তাকে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু কিছুটা অসুস্থবোধ করলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করানো হয়। শনিবার তাকে আদালতে নেওয়া হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আদালতে করা মামলার নথি সূত্র মতে, শতখালী গ্রামের নওশের একজন প্রতারক ও ব্ল্যাকমেইল করা খারাপ প্রকৃতির লোক। গত ২১ এপ্রিল তিনি এলাকার এক প্রবাসীর স্ত্রীর পিতার বাড়িতে গিয়ে ব্যক্তিগত অশ্লীল ছবি দেখায়। এই ছবিগুলো তার স্বামী বিদেশ থেকে পাঠায়েছে এমন দাবি করে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এই টাকা না দিলে ছবিগুলো ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়া হয়। এতে দুঃখে ও লজ্জায় ওই নারী ঘরে ফ্যানের সাথে দড়ি দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। স্বজনরা বুঝতে পেরে ঘরের দরজা ভেঙ্গে তাকে উদ্ধার করে মাগুরা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় ২৮ এপ্রিল ওই নারী নওশের এর বিরুদ্ধে মাগুরা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২০১২ সালের পর্নোগ্রাফি আইনের ৮ (১)(২)(৩) ধারায় মামলা করেন। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় মাগুরা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শালিখা আমলী আদালতের বিচারক সুমনা পাল ‘দ্যা কোড অব ক্রিমিন্যাল প্রসিডিউর’ ১৮৯৮ এর ১৫৬ (৩) ধারা মোতাবেক এফআইআর হিসেবে দুই কর্মদিবসের মধ্যে মামলাটি নথিভুক্তের জন্য শালিখা থানাকে নির্দেশ দেন। মামলাটি নর্থিভুক্তের পর পুলিশ নওশেরকে ৩ মে গ্রেফতার করে।