নিজস্ব প্রতিবেদক
বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকনসহ বিএনপির ৩৯১ নেতাকর্মী খালাস পেয়েছেন। বৃহস্পতিবার যশোরের পৃথক দুইটি আদালত নাশকতার পৃথক দুইটি মামলায় এ আদেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, যশোর জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ১ অক্টোবর হযরত মোহাম্মদ (সা:) নিয়ে কুটুক্তি ও ধর্মীয় অনুভূতির উপর আঘাত আনার প্রতিবাদে আওয়ামী লীগের তৎকালীন ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে প্রেসক্লাবে যশোরের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করে যশোর জেলা বিএনপি। এসময় পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালায়। একই সাথে বিএনপি নেতা সাবুসহ আটজনকে আটক করা হয়। ওই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা অমিত, সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, দেলোয়ার হোসেন খোকন, মুনীর আহমেদ সিদ্দিকি বাচ্চু, আব্দুস সালাম আজাদ, হাজী আনিছুর রহমান মুুকুল, জেলা যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল, ছাত্রদলের শীর্ষ নেতা, উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ ১৭৬ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা করে।
আদালত সূত্র জানায়, ওই মামলাটি যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতে বিচারধাধীন ছিলো। কিন্তু দীর্ঘদিন স্বাক্ষীদের হাজির হওয়ার নির্দেশনা দিলেও তারা আসেননি। আদালতের কাছে আনীত অভিযোগ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয় রাষ্ট্রপক্ষ। ফলে বৃহস্পতিবার এই মামলা থেকে সকল আসামিকে অব্যাহিত দেন বিচারক এসএম আশিকুর রহমান।
এছাড়া ঝিকরগাছার পৃথক আরেকটি মামলায় স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের আরও ২১৫ নেতাকর্মীকে অব্যাহতি দিয়েছে পৃথক আরেকটি আদালত।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ২৮ নভেম্বর ঝিকরগাছা বাসস্টান্ড এলাকায় নাশকতার অভিযোগে ঝিকরগাছা থানার তৎকালীন এসআই সৈয়দ কামরুজ্জামান বাদী হয়ে ২১৫ জনের বিরুদ্ধে নাশকতার অভিযোগে মামলা করেন। ওই মামলাটি তদন্ত করে এসআই মোস্তাফিজুর রহমান ২১৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলাটি অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৫ম আদালতে বিচারাধীন ছিলো। গতকাল বৃহস্পতিবার এই মামলার চার্জগঠনের দিন ধার্যছিলো। কিন্তু আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় সকল আসামিকে এ মামলা থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়। অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ জুয়েল অধিকারী এই আদেশ দেন।
এ মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন, আবু সাইদ, মাস্টার মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, আশরাফুল আলম, অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন, মাওলানা লুৎফর রহমান, আসাদুজ্জামান, মোহাম্মদ আজিজ প্রমুখ।