আন্তর্জাতিক ডেস্ক: অবশেষে দীর্ঘ লড়াইয়ের পর নিজ দেশে ফেরার অনুমতি পেলেন আফগানিস্তানে সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে কোভিড আক্রান্ত হয়ে সেখানে আটকে পড়া নিউজিল্যান্ডের অন্তঃসত্ত্বা সাংবাদিক শার্লট বলিস।
সীমান্তে কড়াকড়ি আরোপ এবং কঠোর কোভিড প্রোটোকলের কারণে দেশে ফিরতে পারছিলেন না তিনি। নিউজিল্যান্ড সরকারের সাথে বারবার যোগাযোগের পরও মিলছিল না অনুমতি।
পরবর্তীতে এ নিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতে প্রতিবেদন প্রকাশের পরই টনক নড়ে জাসিন্ডা আরডার্নের সরকারের। বেশকিছু শর্ত দিয়ে মঙ্গলবার দেশে ফেরার অনুমতি দেয়া হয় ওই সাংবাদিককে।
আফগানিস্থান দেশটি তালেবানদের হাতে আশার পর থেকেই বিভিন্ন ধরনের শর্তাবলী আরোপ করেছে সে দেশের নারীদের ওপর। চলাফেরা, শিক্ষা-দীক্ষা সব কিছুতেই কঠোর বিধি নিষেধ নাভিশ্বাস করে ফেলেছে তাদের জীবনকে।
টিকে থাকতে গর্ভবতী নারী এবং শিশুদের ঠিক কতখানি কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয় তা নিয়ে প্রতিবেদন করতে দেশটিতে গিয়েছিলেন নিউজিল্যান্ডের অন্তঃসত্ত্বা গণমাধ্যম কর্মী শার্লট বলিস।
সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে কোভিড আক্রান্ত হওয়ায় বিপাকে পরেন তিনি। এরই মধ্যে সংক্রমণ মোকাবিলায় নিউজিল্যান্ডেও আসে নানা কড়াকড়ি। আটকা পড়েন ২৫ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা শার্টল।
খোদ প্রধানমন্ত্রীই বিধি নিষেধের কড়াকড়িতে নিজের বিয়ে বাতিল করেন। সুতরাং, দেশে ফিরতে অপেক্ষা ছাড়া আর উপায় থাকে না এই নারী সাংবাদিকের।
এই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে তালেবান সরকারের আশ্রয়ে থেকে দিন কাটাতে শুরু করেন তিনি। আফগানিস্থান কর্তৃপক্ষ নিউজিল্যান্ড সরকারে কাছে জরুরি ভিত্তিতে তাকে ফেরত নিতে একে একে ৫৯টি নথি পাঠায়, তবে বার বারই তা নিউজিল্যান্ড সরকারের দ্বারা প্রত্যাখাত হয়।
এর পরপরই আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতে প্রতিবেদন প্রকাশের পর সমালোচনার ঝড় ওঠে। উপায় অন্ত না দেশে তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত বদল করে নিউজিরল্যান্ড।
দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী গ্র্যান্ট রর্বাটসন বলেন, শার্লট বেলিস এবং তার আইনজীবি আইনি পদক্ষেপের কথা ভাবছেন। কিন্তু আমরা সেদিকে যেতে চাইনা। তার জন্য আইসোলেশনের একটি জায়গা রয়েছে। আমি তাকে অনুরোধ করছি দেশে ফিরে এসে তাকে এটি গ্রহণ করতে।
শার্লট বেলিস নিউজিল্যান্ড সরকারের এ সিদ্ধান্তের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন। এবং সীমান্তে বিধিনিষেধ সংক্রান্তে যে কোনো সমস্যা সমাধানে তিনি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ বলে জানায় স্থানীয় গণমাধ্যম।